৭ মাসের মধ্যে ভারতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দেশটিতে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে লাখের ঘর। যা গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও তা এখনও তিনশোর ওপরেই রয়েছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ১০০ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২৬ হাজার।

শুক্রবার ভারতে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ। একইসঙ্গে সাত মাস পর করোনায় দৈনিক শনাক্ত এক লাখের গন্ডি পার করলো দেশটি। তবে ভারতে সংক্রমণ বাড়লেও সুস্থতার হার বেশ আশাব্যাঞ্জক, ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

এর আগে গত বছরের জুন মাসে দৈনিক এক লাখ সংক্রমণের গন্ডি পার করেছিল ভারত। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৫২ লাখ ২৬ হাজার ৩৮৬ জনে।

এদিকে ভারতে দৈনিক সংক্রমণে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে গত একদিনে ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তঘেষা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার। পশ্চিমবঙ্গের পরে সংক্রমণের বিচারে তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে ১৫ হাজার, তামিলনাড়ুতে ৭ হাজার এবং কর্ণাটকে ৫ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩০২ জন। এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় সর্বাধিক ২২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মৃত্যুর দিক দিয়েও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যটিতে ১৯ জন মারা গেছেন। ভারতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় পৌনে চার লাখ।

এদিকে করোনার এই উল্লম্ফনের মধ্যেই ভারতে অতিদ্রুত বাড়ছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যাও। দেশটিতে বর্তমানে মোট ওমিক্রন রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৭ জন। তবে তাদের মধ্যে ১ হাজার ১৯৯ জন ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

ওমিক্রন আক্রান্তের দিক দিয়েও ভারতে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে মোট ৮৭৬ জন করোনার নতুন ধরনটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরই রয়েছে দিল্লি। সেখানে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৫ জন।