দুষ্টচক্রের হাতে পড়েছে ইভ্যালি, দাবি মার্চেন্টদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
ইভ্যালি দুষ্টচক্রের হাতে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমার কো-অর্ডিনেশন কমিটি।

মঙ্গলবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাকিব হাসান। এ সময় ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমার কো-অর্ডিনেশন কমিটির সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন, সদস্য শাহ ইমরান হিমেল, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনটির সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে কয়েকজন গ্রাহক কাল্পনিক অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে ইভ্যালিতে ৭৪ লাখ গ্রাহক ও ৩৫ হাজার মার্চেন্ট রয়েছেন। এরমধ্যে একজন গ্রাহক ৩২ হাজার টাকা পাবেন বলে দাবি করেছেন। তিনি এই টাকার জন্য ইভ্যালির অবসায়ন চেয়েছেন। আমি মনে করি, একটি দুষ্টচক্রে ইভ্যালির পেছনে লেগেছে।

নাসির বলেন, ইভ্যালি অর্থ পাচার করেনি। বরং অন্যান্য ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান অর্থ পাচার করছে। কোম্পানিগুলো প্রতারণা করছে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইভ্যালিতে ৩৫ হাজার মার্চেন্টের কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ ও ভোক্তাদের লাখ লাখ টাকা অর্ডার রয়েছে। কিন্তু সেখানে মাত্র ৩২ হাজার টাকার জন্য একজন গ্রাহক ইভ্যালির অবসায়ন চেয়েছেন।

আমরা মনে করি, একটি অপশক্তি ইভ্যালিকে বন্ধ করে লাখ লাখ ভোক্তা ও মার্চেন্টদের স্বার্থহানী করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। রাসেল ও শামীমা নাসরিন ছাড়া কেউই ইভ্যালি পরিচালনা করে আমাদের পাওনা অর্থ প্রদান বরতে পারবে না। বর্তমান পরিচালনা কমিটির কার্যক্রম আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। এই পরিচালনা কমিটি ইভ্যালির বাড়ি বিক্রি না করে ইভ্যালির ব্রান্ড ভ্যালুকে কাজে লাগিয়ে ৫০০-১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ সংস্থান করলে আমরা সাধুবাদ জানাব।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমানে ইভ্যালি পরিচালনা কমিটির মধ্যে বিভেদ স্পষ্ট। তারা আমাদের কোনো কথা শুনছেন না। কমিটির চেয়ারম্যানের একেক সময় একেক বক্তব্যের কারণে আমরা বিভ্রান্ত হয়েছি।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন, আমরা ইভ্যালির মার্চেন্ট ও গ্রাহকেরা ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও সিইওকে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিয়ে আমাদের ব্যবসা অব্যাহত রাখা ও ঋণ পরিশোধের সুযোগ চাই। বিশ হাজার একশত বিরাশি জন মার্চেন্ট এবং ভোক্তার সমন্বয় কমিটির জিম্মায় রাসেলকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।