মানুষকে ঘরে রাখতে কারফিউ জারির পরামর্শ

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বাড়ছে সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশে চলমান লকডাউনের পরিবর্তে কারফিউ বা ১৪৪ ধারার মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল এনসিডিসি পরিচালক ও অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

তিনি বলেন, দেশে কঠোর লকডাউন চলছে কিন্তু মানুষের চলাফেরা বা জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে দেশের মানুষ কারফিউ বা ১৪৪ ধারার মতো কর্মসূচিগুলো ভয় পায় এবং প্রতিপালনের চেষ্টা করে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত জানুয়ারি মাসে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৬২৯ জন, যা এপ্রিলে লাখ ছাড়িয়ে যায়। আবার জুন মাসে তা বেড়ে এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জনে পৌঁছায়। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছে ৫৬ হাজার ৯ জন। এই সময়ে মারা গেছেন ১০৯০ জন।

চলতি জুলাইয়ের প্রথম ৭ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। একই সময় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনার ঊর্ধ্বগতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বলা হচ্ছে, এরকম অস্বাভাবিক হারে রোগী বাড়তে থাকলে চিকিৎসাসেবা ও অক্সিজেন সরবরাহ চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এমন প্রেক্ষাপটে করোনার লাগাম টানতে প্রয়োজনে কারফিউ জারির পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে গত ১ জুলাই থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকারের পক্ষ থেকে এবার বিধিনিষেধ ‘কঠোর’ই করার কথা বলা হয়। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলেই গ্রেপ্তার করার কথা বলে পুলিশও। বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনীও। এরপর ৫ জুলাই বিধিনিষেধের (লকডাউন) মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।