গোপালগঞ্জে ১৫শ শিক্ষার্থীকে ‘ভোক্তা অধিকার’ প্রশিক্ষণ

অনলাইন ডেস্ক: গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রশিক্ষণমূলক অনুষ্ঠান ‘ভোক্তা অধিকার ও ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল-২০২০ ’।  শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের মুক্তমঞ্চে বর্ণিল এ ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) ও ‘কনসাস কনজুমারস সোসাইটি’ (সিসিএস) ও এর যুব শাখা ‘কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি)যৌথভাবে  এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  প্রশিক্ষণমূলক অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ঢাকা থেকে আগত প্রশিক্ষকেরা ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ এর ওপর বিস্তারিত ধারণা দেওয়া, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার বিষয়ে সিভি লেখন, ইংরেজি শিক্ষা, বিদেশে উচ্চ শিক্ষা, চাকরির ও ভাইভার প্রস্তুতি এবং ই-কমার্সে ভোক্তার নিরাপত্তার কলাকৌশলসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। 

১ম পর্বে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ন্যাশনাল ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি কে এম হাসান রিপন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এম এইচ এম মুবাশশির, বিডি জবস ডটকমের সিনিয়র ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী ফিরোজ,ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালি এর সিনিয়র ম্যানেজার (অপারেশন অ্যান্ড আইআর) আবদুল্লাহ আল মামুন, আউট স্পোকেনের প্রতিষ্ঠাতা আফজাল হোসাইন, ব্র্যাক ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা মেহেনাজ আক্তারসহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শাহজাহান।  প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সম্মানিত অতিথি হিসেবে শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার এর সিইও ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান চৌধুরী।

এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে সিসিএস এর নির্বাহী পরিচালক ও সিওয়াইবির কেন্দ্রীয় সভাপতি পলাশ মাহমুদ, সিওয়াইবির বশেমুরবিপ্রবি শাখার উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও মো. আবদুর রহমান, সিওয়াইবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী শুভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


ফেস্টিভ্যাল শেষে অংশগ্রহণকারীদের ডিএনসিআরপি ও সিসিএসের পক্ষ থেকে যৌথ সনদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিওয়াইবির ২০ জন সক্রিয় সদস্য পান লিডারশিপ সনদ। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা। এতে তিনটি মোবাইল ফোনসহ মোট ১৮ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।