হাসপাতালগুলোতে করোনা শয্যার ১৯ হাজার ৭৩০টি খালি

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। ইতোমধ্যে অনেক জেলায় নতুন আক্রান্তের হার শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এ অবস্থায় করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও কমে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, সারাদেশের কোভিড ডেডিকেটেড ২১ হাজার ৮০০টি শয্যার মধ্যে ১৯ হাজার ৭৩০টি খালি পড়ে আছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক ‘কোভিড-১৯ ডাইনামিক ফ্যাসিলিটি ড্যাশবোর্ড ফর বাংলাদেশ’ ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সেখানে বলা হয়েছে, সারাদেশে কোভিড ডেডিকেটেড মোট শয্যা রয়েছে ২১ হাজার ৮০০টি। এর মধ্যে দুই হাজার ৭০ রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রোগী না থাকায় ১৯ হাজার ৭৩০টি শয্যা খালি পড়ে আছে। সারাদেশে মোট হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার ব্যবস্থা রয়েছে দুই হাজার ৪৪৯টি শয্যায়। এর মধ্যে এক হাজার ৫৭টিতে রোগী থাকলেও বাকি এক হাজার ৩৯২টি খালি আছে। এছাড়া মোট ভ্যান্টিলেটর এক হাজার ৩৪২টি ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে চার হাজার ৯০৩টি শয্যায়।

বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ সংখ্যক নয় হাজার ৩০৪টি কোভিড ডেডিকেটেড শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি এক হাজার ২২৪টিতে। রোগী না থাকায় খালি পড়ে আছে আট হাজার ৮০টি শয্যা। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে এক হাজার ২৪০টি শয্যায়। এর মধ্যে ৩০৭টিতে রোগী থাকলেও বাকি ৯৩৩টি খালি পড়ে আছে।

চট্টগ্রাম বিভাগে তিন হাজার ৮২৯টি শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ৩১৫টিতে। রোগী না থাকায় খালি পড়ে আছে তিন হাজার ৫১৪টি শয্যা। এ বিভাগে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ৪১৪টি। এর মধ্যে ২৪৪টিতে রোগী থাকলেও বাকি ১৭০টি খালি পড়ে আছে।

বরিশাল বিভাগে এক হাজার ১৬৪টি কোভিড ডেডিকেটেড শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ২৪টিতে। রোগী না থাকায় খালি পড়ে আছে এক হাজার ১৩৬টি শয্যা। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ১০৪টি শয্যায়। এর মধ্যে ৮৯টিতে রোগী থাকলেও বাকি ১৫টি শয্যা খালি আছে।

খুলনা বিভাগে দুই হাজার ১৫৬টি কোভিড ডেডিকেটেড শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ৯৭টিতে। রোগী না থাকায় খালি পড়ে আছে দুই হাজার ৫৯টি শয্যা। এ বিভাগে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ২৭৫টি শয্যায়। এর মধ্যে ১৭৯টিতে রোগী থাকলেও বাকি ৯৬টি খালি আছে।

ময়মনসিংহ বিভাগে এক হাজার ৬০টি কোভিড ডেডিকেটেড শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ৫২টিতে। রোগী না থাকায় খালি পড়ে আছে এক হাজার আটটি শয্যা। এ বিভাগে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ৯৮টি শয্যায়। এর মধ্যে ১৮টিতে রোগী থাকলেও বাকি ৮০টি খালি আছে।

রাজশাহী বিভাগে এক হাজার ২১৭টি কোভিড ডেডিকেটেড শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ৯৪টিতে। রোগী না থাকায় খালি পড়ে আছে এক হাজার ১২৩টি শয্যা। এ বিভাগে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ১৬৬টি শয্যায়। এর মধ্যে ১৫৭টিতে রোগী থাকলেও বাকি নয়টি খালি আছে।

রংপুর বিভাগে এক হাজার ৪৯৭টি কোভিড ডেডিকেটেড শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ৮৭টিতে। রোগী না থাকায় খালি আছে এক হাজার ৪১০টি শয্যা। এ বিভাগে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ৯৫টি শয্যায়। এর মধ্যে ৫০টিতে রোগী থাকলেও বাকি ৪৫টি খালি আছে।

সিলেট বিভাগে এক হাজার ৫৭৩টি কোভিড ডেডিকেটেড শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ১৭১টিতে। রোগী না থাকায় খালি আছে এক হাজার ৪০২টি শয্যা। এ বিভাগে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ৫৭টি শয্যায়। এর মধ্যে ১৩টিতে রোগী থাকলেও বাকি ৪৪টি খালি আছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৬৮১ জন। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ হাজার ৮৯০ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭৮ জন।

করোনাবিষয়ক সর্বশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮৯০ জনে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছিলেন সাতজন। এ সময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৯৬ জন। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৬৮১ জনে।