বিদ্যুৎ খরচ কমাতে বিশেষজ্ঞদের ১০ পরামর্শ

।। জ্বালানি ডেস্ক ।।
দেশে বিদ্যুতের ব্যয় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এখন যদিও শীতকাল, বিল কম আসছে। তাই মধ্য ও নিম্নবিত্তদের দুশ্চিন্তাও অনেক কম। কিন্তু ক’দিন না যেতেই আবার বিদ্যুৎ বিলের বোঝা কাঁধে চাপবে। তাই এখন থেকেই কিছু অভ্যাস রপ্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো মেনে চললে আপনার পকেটের বোঝা যেমন কমবে, তেমনি দেশের অর্থনীতির জন্যও তা মঙ্গলজনক। এভাবে যে বিদ্যুৎ বাঁচবে তা থেকে আরও কিছু মানুষও বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করার সুযোগ পাবেন।

  • বাল্‌ব বা টিউব মাঝে মধ্যেই পরিষ্কার করুন। এতে ভিতরের তার ও ফিলামেন্টে ধুলো জমে না, বাড়তি বিদ্যুৎ টানারও প্রয়োজন হয় না।
  • আজকাল আধুনিক সব ওয়্যারিংয়ের ব্যবহার প্রচলিত। দেওয়ালের প্লাস্টার চটিয়ে তা বদলানো সব সময় যায় না। কিন্তু অনেক পুরনো ওয়্যারিং অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচের জন্য দায়ী। তাই দশ বছর অন্তর প্লাস্টার চটিয়ে বদলে ফেলুন ওয়্যারিং।
  • অনেকেই ওয়্যারিংয়ের সময় কমদামি তার ব্যবহার করেন। এমন না করে প্রথম থেকেই ব্যবহার করুন দামি তার। এতে এক বার একটু খরচ হলেও সারা জীবনের খরচের ভার লাঘব হয়। পাখা-আলো এ সবও পাঁচ-ছ’বছর অন্তর বদলান।
  • ফ্রিজ ব্যবহারের সময় তার দরজা বার বার খোলেন বা অনেক ক্ষণ দরজা খুলে রেখে কাজ করেন? এই অভ্যাস বদলান। ফ্রিজ বার বার খুললে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়।
  • ফ্রিজের নিচে বা পিছনে থাকা কন্ডেনসার কয়েলটি মাঝে মধ্যেই পরিষ্কার করুন। এখানে ময়লা জমে থাকলে, বিদ্যুতের খরচ প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়।
  • যে ঘরে খুব চড়া আলো লাগে না, সেখানে কম বিদ্যুৎ খরচ হওয়া আধুনিক পদ্ধতির আলো ব্যবহার করুন। নতুন কোনো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কিনলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্র কিনুন, কেনার আগে সরকারি নিয়মের স্টার রেটিং দেখে নিন।
  • কম্পিউটার বা টিভি দেখতে দেখতে অনেকেই স্ট্যান্ড বাই মোডে রেখে দেন সে সব। এতে খরচের মাত্রা বেড়ে যায় ৯০ শতাংশ। সুতরাং এই অভ্যাস বদলান। কাজ না থাকলে বন্ধ করে রাখুন কম্পিউটার।
  • টিভি বা এসি ব্যবহারের পর তা বন্ধ করুন সুইচ বোর্ড থেকে। অনেকেই রিমোট থেকে তা বন্ধ করেই নিশ্চিন্ত তাকেন। এই স্বভাব বিদ্যুতের খরচ বাড়ায়।
  • অকারণে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবহারে রাশ টানুন। যে কাজ সে সবের ব্যবহার ছাড়াও করা সম্ভব, তাতে অযথা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করবেন না।
  • সাধারণ রেগুলেটরের বদলে ইলেকট্রনিক ও আধুনিক রেগুলেটর ব্যবহার করুন। এতে বিদ্যুৎ খরচ কমে।