কাঁচপুর রুটে থাকবে না পুরাতন বাস

১২০টি নতুন বাস নিয়ে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে আগামী ১ ডিসেম্বর শুরু হবে বাস রুট রেশনালাইজেশনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। এরই অংশ হিসেবে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে চলবে না কোনো পুরনো বাস। এখন এ রুটে যে বাসগুলো চলছে, সেগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারির পর কেনা বাস থাকবে। বাকি বাসগুলো উঠিয়ে নেওয়া হবে। এর সঙ্গে নতুন বাস যোগ হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় ২১ কি.মি দৈর্ঘ্যের প্রস্তাবিত এ রুটে ১২০টি নতুন বাস চলাচল করবে। এ প্রস্তাবনায় পরিবহন মালিকসহ সবার সম্মতি রয়েছে। এ রুটে চলাচলকারী পরিবহনের চালক এবং হেলপারের একটি নির্দিষ্ট পোশাক থাকবে। আগামী ২০ অক্টোবর এ রুটে চলাচলকারী বাসের ডিজাইন চূড়ান্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের বাকি গণপরিবহনের শৃঙ্খলাও প্রতিষ্ঠিত হবে। এছাড়া নতুন এ রুটে ৪০টির বেশি যাত্রী ছাউনি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে কমিটি। পাশাপাশি বাস-বে হবে ১৬টি স্থানে। জায়গা সংকটের কারণে বাস-বের সংখ্যা আর বাড়াতে পারছে না কমিটি। এ রুটে চলাচলকারী বাসগুলো নির্দিষ্ট রঙের হবে। রঙ নির্ধারণের বিষয়টি আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে কমিটিকে জানাবে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। আগামী ২০ অক্টোবর বাসের রঙ চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে গতকাল (৫ অক্টোবর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আয়োজিত বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ১৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সভা শেষে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ও ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমরা দায়িত্বভার গ্রহণের পর গত বছরের ৬ অক্টোবর আমাদের প্রথম সভা (কমিটির ১২তম সভা) করি। এই করোনা মহামারির মাঝেও আমরা পুরোদমে কাজ করে চলেছি। যেটা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ছিল, যেটা অত্যন্ত জটিল ছিল তা আমরা সমাধানের কাছাকাছি নিয়ে এসেছি। আজকে আমরা একটি চূড়ান্ত তারিখ দিতে পারছি। ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর এ পাইলটিং রুটে নতুন নিয়মে, নতুন পদ্ধতিতে বাস চলবে। এর ফলে নতুন বাসের মাধ্যমে জনগণকে মানসম্পন্ন সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।

আগামী ১ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম উপস্থিত থেকে ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটের উদ্বোধন করবেন।

এ জন্য যাবতীয় কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এখনও যে সময় আছে, এর মধ্যে বাকি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১ ডিসেম্বর আমরা কার্যক্রম উদ্বোধন করব। এ রুটে কার্যক্রম শুরুর পর পর্যায়ক্রমে ক্লাস্টারের বাকি যে রুট রয়েছে, সেগুলোতে একই পদ্ধতি চালু করা হবে।