বাংলাদেশ থেকে ‘প্রাণ’ নিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ কলকাতায়

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে খাদ্যপণ্যের প্রথম চালান হিসেবে মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদীর পলাশে অবস্থিত প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক থেকে ২৫ হাজার কার্টন লিচি ড্রিংকস নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে পণ্যবোঝাই এই জাহাজটি।

নরসিংদীর শীতলক্ষ্যা থেকে যাত্রা শুরু করে দুপুর ১টায় পণ্যবোঝাই জাহাজটি । জাহাজটি নারায়ণগঞ্জ, খুলনার শেখবাড়িয়া হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে এবং কলকাতা বন্দরে গিয়ে পৌঁছাবে। জাহাজটির গন্তব্যে পৌঁছাতে ৩-৪ দিন সময় লাগবে। ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জাহাজটি গন্তব্যে পৌঁছাবে। এটি সরাসরি কলকাতা বন্দরের টিটি শেডে গিয়ে পৌঁছাবে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সড়কপথের তুলনায় নৌপথের পণ্য পরিবহন খরচ ৩০ শতাংশ কম। সড়কপথে অনেক জায়গায় রাস্তা খারাপ হওয়ায় পণ্য নষ্ট কিংবা পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু নৌপথ এক্ষেত্রে নিরাপদ। ট্রাকে পণ্য পরিবহনে একাধিকবার লোডিং ও আনলোডিংয়ের প্রয়োজন পড়ে না এই ক্ষেত্রে। সেজন্যেই নৌপথে পণ্য পরিবহনে পণ্যের গুণগতমান ভালো থাকে।
প্রাণ গ্রুপ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রাণ গ্রুপ-এর রফতানি কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৭ সালে। তখন পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরায় যায় প্রাণ চানাচুর। সেখান থেকে এখন ভারতের ২৮টি রাজ্যের প্রতিটিতেই প্রাণ পণ্য রফতানি হচ্ছে।

তারা জানান, ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে প্রাণ পণ্যের বিশাল বাজার রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় ভারতের আবহাওয়া, মানুষের খাদ্যাভ্যাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশিদের সঙ্গে অনেক মিল এবং সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে দেশটিতে বাংলাদেশের খাদ্যপণ্যের ভালো করার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের সেভেন সিস্টারস খ্যাত সাত রাজ্যে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।