করোনায় বিশ্বে মৃত্যু ৬ হাজার ৫২৩ জন, শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু ফের দ্রুত বাড়ছে। দৈনিক আক্রান্ত মৃত্যুর হিসেবে সবার উপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এক দিনে করোনায়মৃত্যু  হয়েছে ৬ হাজার ৫২৩ জনের। শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১২ হাজার ৯৩৯ জন।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস জানিয়েছে,  গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৫২৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে । এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৪ লাখ ৩০ হাজার ৩১৪ জনে।থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ কোটি ৩১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭৯ জনে। আর বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৪ লাখ ৩০ হাজার ৫২০ জনে।

করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৫ কোটি ৪১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৪ জন এবং মারা গেছেন ৮ লাখ ৪২ হাজার ১৬১ জন।

ওই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮ হাজার ৬৭ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৮০ হাজার ৩২০ জন।

তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ ৫৪ হাজার ৭০৭ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৩ জন।

তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইরান, স্পেন, ইতালি ও আর্জেন্টিনা।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩২ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ২৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৮ হাজার ৬২ জন। দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠেছেন মোট ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

এরপর প্রায় ২ বছর সংক্রমণ বাড়া-কমার মধ্য দিয়ে যায় ভাইরাসটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অব্যাহত টিকাদানের পর চলতি বছরের মাঝামাঝির দিকে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে বছরের শেষ দিকে এসে হানা দিয়েছে করেনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এর প্রভাবে সারা বিশ্বেই করোনা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে।