শ্রমজীবী ক্যান্টিন: মাত্র ২০ টাকায় পেট ভরা খাবার

শুরু হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর থেকে।তারপর ধীরে ধীরে শুধু কলকাতাই নয়, ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল এই উদ্যোগ। বাংলাদেশের পুরনো ঢাকার পল্টন বাজার মোড়ে এখন পাওয়া যাচ্ছে এই শ্রমজীবী ক্যান্টিন। সেখানেই মুক্তিভবনের নীচে চলছে মাত্র ২০ টাকায় পেট ভরা খাবার। বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের উদ্যোগে একেবারে নিখরচায় প্রতিদিন দু বেলা খাবার পাচ্ছেন অসংখ্য গরিব মানুষ।


করোনা মহামারিতে সংসার খরচ জোগাড় করাই কঠিন হয়ে পড়েছে অনেক পরিবারের জন্য ।  তার উপর, ফুটপাতের হোটেলগুলো বন্ধ। বড় বড় হোটেল–রেস্তোরাঁ খোলা আছে শর্ত মেনে। তবে সেখানেও বসে খাওয়া বারণ। তা ছাড়া ওই সব রেস্তোরাঁয় খাওয়ার আর্থিক সংগতিও নেই অনেকের।  এই অবস্থায় ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’ সেইসব মানুষদের পাশে দাড়িয়েছে।
এই ক্যান্টিনের সব ধরনের কাজ করছেন ছাত্র ইউনিয়ন ও যুব ইউনিয়ন কর্মীরা। বাজার করা থেকে শুরু করে রান্না করে মানুষেরর হাতে খাবার তুলে দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা কাজ করছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। খাবার বিতরণের পাশাপাশি করোনা সচেতনতা নিয়েও কাজ করছেন তাঁরা। মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে।
                
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল ঢাকার একটি পত্রিকায় প্রতিক্রিয়া দিয়ে  বলেন, ‘লকডাউনে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, হকারদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ। আমরা ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব থেকে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিনা মূল্যে দুই বেলা খাবার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’


 সরকারের বিধি-নিষেধ বা লকডাউন যত দিন চালু থাকবে তত দিন এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম। তিনিও ওপার বাংলার সংবাদ মাধ্যমে জানান, জনগণের অনুদানের টাকায় শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালু হয়েছে। প্রতিদিন দুপুর ও রাতে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। মিরপুর এবং কাফরুলেও একই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে রাজধানীর সব থানার পাশাপাশি সারা দেশে এই কার্যক্রম চালু করা হবে।