পাংশায় ৪ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ১১ হাজার টাকা জরিমানা

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বিভিন্ন বাজার তদারকিকালে চার প্রতিষ্ঠানকে মোট সাড়ে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার উপজেলার পাংশা পৌর কাঁচা বাজার, পাইকারী বাজার ও কলেজ রোড এলাকায় বিভিন্ন পণ্যের পাইকারী ও খুচরা প্রতিষ্ঠানে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান।

তদারকিকালে পৌর কাঁচা বাজারের মুসলিম ডিমের আড়ৎকে পণ্যের মূল্য তালিকা যথাযথ ভাবে প্রদর্শন না করা ও প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথ ভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৮ ও ৪৫ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে দুই হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে।

মেসার্স সোহেল ডিম ভান্ডারকে পণ্যের মূল্য তালিকা যথাযথ ভাবে প্রদর্শন না করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৮ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে ৫০০ টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে।

কলেজ রোডের অমল দধি ভান্ডারকে পণ্যের মূল্য তালিকা যথাযথ ভাবে প্রদর্শন না করা এবং বিক্রয়কৃত পণ্যের মোড়কে ওজনে কারচুপি করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৮ ও ৪৬ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে চার হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে।

জোনাব দধি ভান্ডারকে খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪২ ও ৪৩ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে।

তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে নির্ধারিত নিত্যপণ্যের মূল্য যথাযথ ভাবে বিক্রয় সঠিকতা যাচাইসহ ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও প্রতিদিন হালনাগাদকরণ, ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ এবং ন্যায্য মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রয় করার নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং নিষিদ্ধ পণ্যের বিক্রয়রোধ, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য এবং অননুমোদিত ও অবৈধ পণ্য বিক্রয় না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হয়।

এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরকার নির্ধারিত বিধির অধীন যথানিয়মে ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হয়।

উপজেলা প্রশাসন ও জেলা চেম্বার অব্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষের সহায়তায় এবং জেলা ব‌্যাটালিয়ন আনসার সদস‌্যবৃন্দ ও জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টরের অংশগ্রহণে এ তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

জনস্বার্থে এরূপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।