বন্যার প্রভাবে লালমনিরহাটে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে লালমনিরহাট জেলায় তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। পানিতে তলিয়ে রয়েছে পাট ক্ষেত, বাদাম ক্ষেত, ভুট্টা, বোরো বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত।

বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে সবজিসহ বিভিন্ন কাঁচামালের দাম বেড়ে গেছে।

তিস্তা পাড়ের সবজি চাষী আনারুল ইসলাম জানান, আমি এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। পানিতে তলিয়ে গিয়ে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। ফলে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বন্যার কারণে একদিকে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অপরদিকে ভোক্তাকে বেশি দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হচ্ছে।

রাজপুর এলাকার কৃষক আবু মুসা জানান, তিস্তার বন্যার পানিতে আমার বাদাম ও সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমি আর্থিক ভাবে লোকসানে পড়েছি।

ভোক্তা আমিনুর রহমান বাজারে এসে দেখেন মরিচ, পটল ঢেড়সসহ বিভিন্ন সবজির দাম বেশ চড়া। কারণ হিসেবে জানতে পারেন অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

আরেক ভোক্তা সুমন মিয়া জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে বাজারে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদা বেশি থাকায় আর যোগান কম হওয়ায় আমাদের অনেক বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে।

কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী আকবর হোসেন জানান, বৃষ্টির কারণে পণ্য আনার খরচ বেড়ে গেছে। অপরদিকে বন্যার পানিতে অনেক এলাকায় সবজি ক্ষেত তলিয়ে রয়েছে। চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বসতবাড়িতে পানি ঢোকায় বন্যার্তরা দুর্ভোগে পড়েছেন। বন্যা প্রবণ এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। ফলে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা ধরনের রোগ। বন্যার পানিতে অনেক গ্রামীণ কাঁচা পাকা সড়ক ভেঙ্গে গেছে। ফলে লোকজনের যাতায়াত ও চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে  লালমনিরহাট রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের প্রতিটি হাট বাজারে। একদিকে বন্যা অপরদিকে দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।নিয়মিত তদারকি আর নজরদারির তাগিদ জানিয়েছেন তারা।

-টিআই