ক্ষুদ্র ঋণ: উপজেলা পর্যায়ে অভিযোগ বাক্স স্থাপনের নির্দেশ

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:

অনিবন্ধিত, অননুমোদিত ক্ষুদ্র ঋণ, সুদ কারবারি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের বা ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দেওয়ার জন্য জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ‘অভিযোগ বাক্স’ স্থাপনে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিট শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন দেখে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বাংলাদেশ ব্যাংককে এ নির্দেশ দেন।

একই সঙ্গে অনিবন্ধিত, অননুমোদিত ক্ষুদ্র ঋণ, সুদ কারবারি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দুই মাসের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনীরুজ্জামান। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বাকের উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস-আল-হারুনী।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চড়া সুদে ঋণের জালে কৃষকেরা’ শিরোনামে গত ২৮ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক রিট করেন। রিটে মহাজনদের উচ্চহারে অনানুষ্ঠানিক ঋণ প্রদান নিষিদ্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়।

ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ কমিটি গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। তদন্তকালীন সময়ে কোনো অননুমোদিত বা লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সেগুলো বন্ধ করে আইনি ব্যবস্থা নিতেও রুলসহ নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

এছাড়া ঋণদানকারী স্থানীয় সুদকারবারিদের তালিকা দিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ আদেশ অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবেদন দিলেও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি আদালতে কোনো প্রতিবেদন দেয়নি।

আদেশ অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে তদন্ত করতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করেছে। এছাড়া দেশের সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে অনিবন্ধিত, অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের তালিকা করতে।

ইতিমধ্যে কিছু কিছু জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের কাছ থেকে অনিবন্ধিত, অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাওয়া গেছে। তালিকা অনুসারে ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পরে আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন দেখে আদালত তাদের আইনজীবীকে বলেছেন, যেসব জেলা প্রশাসক-সুপার চিঠি অনুযায়ী কাজ করেননি বা করছেন না, তাদের তালিকা দেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।