খাতুনগঞ্জে বেড়েছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম

 

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক
দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বেড়েছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে শুকনা মরিচ, জিরা, দারুচিনি, ধনিয়া, হলুদ, বাদাম, লবঙ্গ। বেড়েছে মসুরের ডালের দামও।

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া, আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার মূল্যবৃদ্ধি, কনটেইনার ভাড়া বৃদ্ধিকে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ডলার স্থিতিশীল না হলে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দাম আরেক দফা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। আর বাজার তদারকি না থাকার কারণেই পণ্যের দাম ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো বাড়াচ্ছেন বলে মনে করছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাবের) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন।

খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে জিরার দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ধনিয়া প্রতিকেজি বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। হলুদের কেজিতে বেড়েছে ৭ থেকে ১০ টাকা। দেশি রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শুকনা মরিচের দাম, কেজিপ্রতি ৫০ টাকারও বেশি বেড়েছে মসলা জাতীয় এ পণ্যের দাম।
খাতুনগঞ্জের আড়তদার এবং ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আল মদিনা ট্রেডার্সের মালিক আহসান উল্লাহ জায়েদী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানি নির্ভর মসলাগুলোর দাম বেড়েছে। রমজানের ঈদের পর থেকে মসলা জাতীয় পণ্যে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৫০ টাকারও বেশি বেড়েছে।

তিনি বলেন, ঈদের আগে জিরা কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকা। এখন তা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৯৫ থেকে ৪০৫ টাকা। ইরান থেকে আসা জিরার দাম বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। আগে তা বিক্রি হতো ৩৮০ টাকায়। ভারতীয় জিরা খাতুনগঞ্জে বেশি বিক্রি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এখন এই জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। ঈদের আগে তা বিক্রি হয়েছে ৩৭৫ থেকে ৩৮০ টাকায়। শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকারও বেশি। ধনিয়া প্রতিকেজি ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা কেজিতে। এছাড়া মসুর ডাল ও মটর ডাল কেজিপ্রতি বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা।

ঈদের আগে ভারতীয় হলুদ বিক্রি হতো ১১২ টাকায়। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। দেশি হলুদ বিক্রি হয়েছিল ৯২-৯৩ টাকায়। এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০২ টাকায়। ঈদের আগে দেশি শুকনা মরিচ বিক্রি হতো কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা করে।

বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণেই মসলার দাম বেড়েছে। খাতুনগঞ্জে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য থাকলেও দাম বাড়তির দিকে। দাম বাড়ায় বিক্রি কিছুটা কম। ঈদ সামনে রেখে মসলার দাম আর বাড়বে না বলে আশা করছেন এ ব্যবসায়ী।

মেসার্স হাজী মোহাম্মদ ইসহাক সওদাগর দোকানের মালিক মো. সেকান্দর বলেন, খাতুনগঞ্জে মসলার দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। দারুচিনি কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। চীনা দারুচিনি ৩৬০ টাকা, ভিয়েতনামের দারুচিনি ৩৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে এলাচ বিক্রি হতো ১৩৫০ টাকা। ডলারের দাম বাড়ার পরে বিক্রি হয়েছিল ১৪৬০ টাকায়। এখন তা কিছুটা কমলেও আগের দামের চেয়ে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে।