খাদ্য ব্যবসায়ীদের এক সংস্থার অধীনে আনার প্রক্রিয়া চলছেঃ খাদ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্য উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীরা সরকারি ১৮টি সংস্থার অধিনে কাজ করতে হয়। এজন্য বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়। এজন্য খাদ্য ব্যবসায়ীদের এক সংস্থার অধীনে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

মঙ্গলবার (৭ জুন) বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘উন্নত অর্থনীতির জন্য নিরাপদ খাদ্য’ শীর্ষক সেমিনারের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, তবে খাদ্য ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কৃষি বাণিজ্য শিল্প এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্থাগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এজন্য কারা তদারকি করবে সে বিষয়টি কেবিনেট (মন্ত্রীপরিষদ সভা) উত্থাপন করা হয়েছে। কেবিনেট বলে দেবে এগুলো কার কাজ।

খাদ্যমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খাদ্য নিরাপদতায় সবথেকে বেশি কাজ করছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ লাইসেন্সিং অথরিটি না। এক্ষত্রে অনকে সময় কাজ করতে সমস্যা হয়।

খাদ্য ব্যবসায়ীদের উদ্যেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারাও খাদ্যের মান উন্নয়ন করুন। কেউ কেউ মুনাফার জন্য ইচ্ছে করে অনিরাপদ খাদ্য তৈরী করে। আমরা চাই দেশের খাদ্য বিদেশের বাজার জয় করুক। এখন যেটুকু বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে, সেটা প্রবাসী বাংলাদেশিরা খাচ্ছে। চাই, অন্যান্য দেশের মানুষ বাংলাদেশি পণ্য খাবে।

চাল নিয়ে মন্ত্রী বলেন, চাল নিরাপদ করতে আমরা সেটা কতটুকু ছাঁটায় করা যাবে, কি মেশানো যাবে, কোনটা যাবেনা, সে আইন করছি। তাতে পুষ্টিমান ঠিক থাকবে। খসড়া আইনটি কেবিনেটে পাশ হয়ে এখন ভেটিংয়ে রয়েছে। আশা করছি আগামি অধিবেশনে সেটি পাস হবে। তখন চাল ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য জনসচেতনতাও দরকার। আমরা বস্তায় চাল কিনিনা। কিন্তু সেটা যখন পালিশ করে প্যাকেটে ভরে সেটা ১০ টাকা বেশি দিয়ে কিনি। সেজন্য ব্যবসায়ীরাও সেটা করে।

খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, আমরা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আরও শক্তিশালী করতে চাই। এখনও এ সংস্থা অনেক কাজ করছে। কিন্তু দেশের মানুষ বেশি বলে সেটি দৃশ্যমান হচ্ছে না।