ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭৬ শতাংশ

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: তিন দিন উত্থান আর দুই কর্মদিবস সূচক পতনের মধ্যদিয়ে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এ সপ্তাহে যেসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ।

বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন বেড়েছে ৫৪৫ কোটি ৬৭ লাখ ৩৫ হাজার ৭২০ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে। প্রায় একই চিত্র দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।

২ এপ্রিল সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩১ লাখ ২০ হাজার ৪৩১ টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬২ হাজার ৯১১ কোটি ৯৮ লাখ ৫৬ হাজার ১৫১ টাকা। অর্থাৎ টাকার অংকে পুঁজি বেড়েছে ৫৪৫ কোটি ৬৭ লাখ ৩৫ হাজার ৭২০ টাকা।

এর আগের সপ্তাহে মূলধন বেড়েছিল ৯৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ৯৯ হাজার ২২ টাকা। অর্থাৎ টানা দুই সপ্তাহ মূলধন যোগ হয়েছে। তার আগের সপ্তাহে মূলধন কমেছিল ৪৮৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৬০৭ টাকা।

গেল সপ্তাহে মোট পাঁচ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৫৮টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৪৪টির। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৯১টির, কমেছিল ৯১টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এ সপ্তাহে ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ার লেনদেন হয়নি ২ শতাধিক কোম্পানির। এ কারণে লেনদেন হওয়া বড় বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তারপরও বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১০ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৯৩ কোটি ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৮৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ১৭ লাখ ৫৯ হাজার ৭৩৩ টাকা। অর্থাৎ ১ হাজার ২৫৪ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ১৫২ টাকা লেনদেন বেড়েছে, শতাংশের হিসাবে ৭৬ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে।

গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার, আমরা নেটওয়ার্কস, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ইউনিক হোটেল, জেমিনি সি ফুড, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড,এডিএন টেলিকম, এপেক্স ফুটওয়্যার,ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন এবং আরডি ফুড লিমিটেডের শেয়ার।

দেশের অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে লেনদেনে ছিল একই চিত্র। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৩০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার হাজার ৪১৯টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১২ কোটি ৬৬ লাখ ৮৩৭ হাজার ১৪০ টাকা।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ৪২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।