দাম নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেও ক্রেতা নেই মসলার বাজারে

অনলাইন ডেস্ক: নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতা থাকলেও দাম নিয়ে রয়েছে অসন্তুষ্টি কিন্তু মসলার বাজারে স্বস্তি থাকলেও ক্রেতা কম। শুধু মসলা নয়, জরুরি নিত্যপণ্য ছাড়া অন্য পণ্যের চাহিদা কমে গেছে।

প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ৪৪ শতাংশ বেশি বলে জানাচ্ছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আর ডিমের হালি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি।

স্বস্তি নেই চাল, ডাল ও সবজির বাজারে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এখন বেশির ভাগ সবজির কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। তবে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম কম। পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা ও আদা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রতি ১০০ গ্রাম জিরা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, এলাচ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, গোলমরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং লবঙ্গ ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে (১০০ গ্রাম হিসাবে) বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, কম নিলে এক দাম, বেশি নিলে আরেক দাম।

এদিকে মসলা আমদানি দ্বিগুণ-তিনগুণ কমেছে। গত জুন মাসে দেশে জিরা আমদানি হয়েছে এর আগের মে মাসের তুলনায় তিনগুণ। যদিও গত বছরের জুন মাসে দেশে জিরা আমদানি হয়েছিল ৫ হাজার ১৫ টন। এই জুনে আমদানি হয়েছে ৪ হাজার ৮০ টন। আর গত বছরের এপ্রিল, মে ও জুন—এই তিন মাসে জিরা আমদানি হয়েছিল ১১ হাজার ৭০৮ টন। আর চলতি বছরের একই সময়ে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ৬ হাজার ৫১৫ টন। একইভাবে গত বছরের ওই তিন মাসে এলাচের আমদানি হয় ১ হাজার ৪৮০ টন। এ বছর একই সময়ে আমদানি হয়েছে মাত্র ৪৪২ টন।

ভারতীয় জিরা ২৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এটা গত ঈদুল ফিতরে ছিল ৩৪০ টাকা।

বাংলাদেশ পাইকারি গরমমসলা ব্যবসায়ী সমিতি গত ৯ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এক চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, ঈদুল আজহার আগপর্যন্ত মসলার মূল্যবৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা নেই।