পতন দিয়ে শেয়ারবাজারের সপ্তাহ শুরু

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক।
 
মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি এদিন শেয়ারবাজারে ক্রেতা সংকটও দেখা দেয়। ফলে লেনদেন চলাকালে ডিএসইতে ৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয়াদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। দিনের সর্বনিম্ন দামে লেনদেন হয় এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
 
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ১৯ পয়েন্ট। আর লেনদেনের ১৬ মিনিটের মাথায় সূচকটি বাড়ে ২৫ পয়েন্ট। লেনদেনের শুরুতে এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও প্রথম ঘণ্টা না যেতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
 
আর সকাল ১১টা ১০ মিনিটের পর থেকে শূন্য হতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের ক্রয়াদেশের ঘর। ক্রেতা সংকটে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম দিনের সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে যায়। এরপরও অনেক বিনিয়োগকারী দিনের সর্বনিম্ন দামে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করতে ব্যর্থ হন।
 
এমন ক্রেতা সংকট দেখা দেওয়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩০টির। আর ৫৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
 
অবশ্য যে হারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে, মূল্যসূচক কমেছে তারচেয়ে কম হারে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসই-এক্স আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩০১ পয়েন্টে নেমে গেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
 
মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি বাজারটিতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৮৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৮৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
 
ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ২৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাইনপুকুর সিরামিক।
 
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো, স্যালভো কেমিক্যালস, জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, মুন্নু ফেব্রিক্স, মেট্রো স্পিনিং এবং প্রাইম টেক্সটাইল।
 
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৬৪ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬২টির এবং ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।