পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার আশঙ্কা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের

ঈদ পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর পর্যন্ত আমদানির অনুমতির (আইপি) সময়সীমা বৃদ্ধি না করলে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ঈদুল ফিতর পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে তারা।

জানা গেছে, আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের আইপি ইস্যু চলমান থাকায় বাজারমূল্য সাম্প্রতিক সময়ে আগের তুলনায় স্থিতিশীল রয়েছে। ২৯ মার্চের পর আইপি ইস্যু না করলে বাজার আবার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার আশঙ্কা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। তাই আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে পেঁয়াজের সরবরাহ চেইন গতিশীল রাখার জন্য ঈদুল ফিতর পর্যন্ত আইপি ইস্যু অব্যাহত রাখা প্রয়োজন উল্লেখ করে রোববার (২৭ মার্চ) কৃষি সচিবকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

পেঁয়াজের সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য ঈদুল ফিতর পর্যন্ত আইপি ইস্যু অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।

পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘এটা তো তাই হয়। ভারত যখন পেঁয়াজ বন্ধ করে দেয় তখনই কিন্তু এখানে মহোৎসব চলে। কৃষকরা মূল্য পাবে কি না সেটা যেমন কৃষি মন্ত্রণালয় দেখে, আমাদেরও তো এ বিষয়টা দেখা দরকার। আগামী ২৯ মার্চ পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেলেই ৩ এপ্রিল রোজাকে সামনে রেখে দেখা যাবে ১/২ এপ্রিলের মধ্যেই ২০ থেকে ২৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। সে কারণেই আমরা এটা লিখেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা শুধু ব্যবসায়ীদের (দায়) তা কীভাবে বলবেন। সেখানে তো শত শত লোক আছে। মোকামে সব দাম বেড়ে যায়। ভারত বন্ধ করলে বা বৃষ্টি হলেই দেখা যায় কৃষকরাও দাম বাড়িয়ে দেন। ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হলে এখানকার বাজার অস্থির হয়ে যাবে।সে কারণেই আমরা অন্তত রোজায় স্বস্তির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি।’