প্রভিডেন্ট ফান্ডে তিন স্তর বিশিষ্ট মুনাফা নির্ধারণ 

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক

সরকারি কর্মচারীদের সাধারণ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) এবং প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে (সিপিএফ) টাকা রাখার বিপরীতে মুনাফার হার নতুন করে নির্ধারণ করেছে সরকার। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের অঙ্কের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য তিন স্তর বিশিষ্ট মুনাফার হার নির্ধারণ করেছে সরকার।

যাদের জমা যত বেশি তারা তত কম মুনাফা পাবেন। এখন থেকে জিপিএফ-সিপিএফে টাকা রাখলে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। তবে সিপিএফের সুদহার সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠান এর চেয়ে কমও নির্ধারণ করতে পারবে। এতদিন এই দুই তহবিলে সবাই সমান ১৩ শতাংশ হারে মুনাফা পেতেন। সামগ্রিক হিসাবে জিপিএফ ও সিপিএফে যাদের বেশি জমা আছে তারা আগামীতে কম মুনাফা পাবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ‘দি জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড রুল্স ১৯৭৯’-এর ১২(১) ধারা এবং ‘দি কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড রুল্স ১৯৭৯’-এর ১২ ধারায় বর্ণিত বিধান অনুসারে ‘জিপিএফ’ ও ‘সিপিএফ’ মুনাফার হার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেসব কর্মীর সঞ্চয়ের পরিমাণ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত তারা সঞ্চয়ের বিপরীতে আগের মতো ১৩ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। যাদের সঞ্চয়ের পরিমাণ ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত তারা সুদ পাবেন ১২ শতাংশ এবং ৩০ লাখ ১ টাকা থেকে তার বেশি সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে সুদের হার ১১ শতাংশ।

বর্তমানে সরকারি কর্মীরা তাদের মূল বেতনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত জিপিএফে রাখতে পারেন। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, করপোরেশন ইত্যাদি হচ্ছে সিপিএফভুক্ত প্রতিষ্ঠান। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংগতি এক রকম না হওয়ায় তাদের নিজস্ব আর্থিক বিধিবিধান ও সামর্থ্য বিবেচনায় জমা করা আমানতে হ্রাসকৃত হারে মুনাফা নির্ধারণ করতে পারবে।