বিনিয়োগকারীদের পুঁজি ফিরেছে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: একদিন পতন আর চারদিন সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফেব্রুয়ারির মাসের একটি সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী এ সপ্তাহে বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম, সূচক ও লেনদেন। অর্থাৎ তিনটি সূচকই বেড়েছে।

আর তাতে নতুন করে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের পুঁজি (অর্থাৎ বাজার মূলধন) বেড়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেনেও একই অবস্থা দেখা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, সপ্তাহজুড়ে (৬-১০ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৬১৭ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার ৬৮৬ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ৪২৮ কোটি ৮৭ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৬ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১৮৮ কোটি ৯২ লাখ ৭ হাজার ৯০ টাকা। যা শতাংশের হিসেবে ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে।

ভাষার মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩৫টির, কমেছে ১২৫টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। লেনদেন হয়নি ছয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার।

তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬২ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৩ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫১৭ দশমিক ৬২ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯৭ পয়েন্টে।

তিনটি সূচকই বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন বেড়েছে চার হাজার ৫৭০ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৯ টাকা। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শুরুর দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬২ হাজার ১৮২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৫ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫২ কোটি ৯৫ লাখ ৮৯ হাজার ৫০৪ টাকা।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ১১৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির।

তাতে এ বাজারের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৭৬৯ পয়েন্টে। সিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২৮৪ কোটি ৭৬ লাখ ৭৩ হাজার ১৩ টাকার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৩০ কোটি ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার ১৫১ টাকার।