ভোজ্যতেল আমদানিতে তিন মাসের জন্য ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি এফবিসিসিআই’র

বিশ্ববাজারে বর্তমানে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। বেশি দামে বিক্রির জন্য সয়াবিন তেলের বোতলের গায়ে লেখা দামও তুলে ফেলছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ হঠাৎ কমে গেছে। এতে ক্রেতারা বোতলজাত সয়াবিন তেল ২০০ টাকা লিটারেও কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এ অবস্থায় অবৈধ মজুদ ও দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু করেছে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোজ্যতেলে তিন মাস ভ্যাট স্থগিত রাখার প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এফবিসিসিআই।

সোমবার (৭ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে এক মতবিনিময় সভায় এ প্রস্তাব করা হয়।

এতে ভোজ্য তেল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারী কোম্পানি, পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, বাজেটে ভোজ্যতেলে ভ্যাট ধরা হয়েছিল ৯ টাকা। অথচ সরকার এখন প্রতি লিটারে ভ্যাট নিচ্ছে ২৭ থেকে ৩০ টাকা।

ব্যবসায়ী নেতাদের দাবিতে সমর্থন জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দীন বলেন, ‘বর্তমানে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে ভ্যাট প্রত্যাহারের বিকল্প নেই। ফলে দেশের বাজারে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্তত আগামী তিন মাসের জন্য আরোপিত ভ্যাট স্থগিত রাখা প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ভোজ্যতেলের সরকার নির্ধারিত মূল্য সবাইকে প্রতিপালন করতে হবে। অযৌক্তেকভাবে কেউ দাম বাড়াবেন না। মজুদ করবেন না। কেউ অসাধু উপায় নিলে এফবিসিসিআই তাদের পক্ষে নেই। প্যাকেটজাত তেলের চেয়ে বাজারে খোলা তেলে দাম বাড়বে- এটা মানা যায় না। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে- এই অজুহাতে অনেকেই তেল মজুদ করছেন। কেউ কেউ বোতলের তেল খোলা হিসেবে বিক্রি করছে। কিন্তু বিশ্ববাজারের যে দাম বাড়ছে সে তেল দেশে আসবে দুই-তিন মাস পরে। তাহলে এখনই দাম কেনো বাড়বে।

মিল মালিকদের বাজারে তেল সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। বাজারে তেল সরবরাহ ঠিক থাকতে হবে। আমরা জানি দেশে যে পরিমাণ তেল আছে সেটা দিয়ে রমজান কাভার করবে। তবে বিশ্ববাজারে তেলের দাম যেহেতু বেড়েছে আগামীতে সরবরাহ রাখতে অন্তত তিন মাস তেল আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানাই। প্রতিবেশী দেশ ভারতে যেটা তিনবার ভ্যাট-ট্যাক্স সমন্বয় করা হয়েছে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ১৫ দিন পর পর তেলের দাম সমন্বয় করতে হবে। বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেল পরিস্থিতিটি সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে প্রতি টন তেলের দাম ১৮০০ ডলার ছাড়িয়েছে। এটা আরও বাড়তে পারে।’

সভায় এফবিসিসিআই পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা, ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।