শেষ কার্যদিবসে সূচকের বড় উত্থান

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: শেয়ারবাজারে শেষ কার্যদিবসে সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার একাধিক বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। বিমার দাপটেই মূল্যসূচকের মোটামুটি বড় উত্থান হয়েছে। বড় অঙ্কের লেনদেন হয়েছে।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। এ বাজারে লেনদেন হওয়া একটি বিমা কোম্পানিরও শেয়ারের দাম কমেনি। 

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ ঊর্ধ্বমূখী প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

সূচকের এ ঊর্ধ্বমূখী প্রবণতা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে প্রধান ভূমিকা রাখে বিমাখাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতাও বাড়তে থাকে।

দিনের লেনদেন শেষে ৫১টি বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে একটি বিমা কোম্পানিরও শেয়ার দাম কমেনি। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছয়টি বিমার শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বাড়ে।

বিমা কোম্পানিগুলোর এমন দাপটের দিনে ডিএসইতে সবখাত মিলে ১০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭০টির এবং ১৭৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৩২৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় তিন পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ১৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। তবে, বাজারটিতে হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় এক হাজার ১০৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৭৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাভানা ফার্মার ৩১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩০ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

এছাড়া, ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ইস্টার্ন হাউজিং, চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৮টির এবং ১০১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৫ কোটি ১ লাখ টাকা।