শেষ ১০ মিনিটের লেনদেনে বাড়লো সূচক

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ব্যাপক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সূচকের এই উত্থান তো পরক্ষণেই পতন। লেনদেনের পুরো সময়জুড়েই দেখা গেছে এমন চিত্র। তবে শেষ ১০ মিনিটের লেনদেনের ওপর ভর করে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক দিন শেষে ঊর্ধ্বমুখী থেকেছে।

প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এমনকি দাম কমার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে ৪০টি প্রতিষ্ঠান। এরপরও দিনের লেনদেনের বেশিরভাগ সময় এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য পড়ে ছিল। প্রায় অর্ধশত প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ায় লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। একইসঙ্গে এই বাজারটিতে কমেছে সবকয়টি মূল্যসূচক। পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। এতে লেনদেনের ১৩ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের এক ঘণ্টা ১২ মিনিটের মাথায় ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক।

এরপর আবার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়তে থাকে। এতে লেনদেনের দুই ঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ১৯ পয়েন্ট। অবশ্য এ দফাতেও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী থাকেনি। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যাওয়ার কারণে দুপুর ২টায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে যায়।

এ সময় অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। দিনের সর্বনিম্ন দামে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তবে লেনদেনের শেষ ১০ মিনিটে কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা ফিরে আসে। এতে পতন কাটিয়ে প্রধান মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। অবশ্য এরপরও ৪০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য পড়ে থাকে।