‘টিকাদানের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করবে ডিএনসিসি’

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবার আগে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। আজকে যারা শিশু তারাই আগামী দিনের স্মার্ট নাগরিক। তাই সবাইকে শতভাগ টিকার আওতায় আনা হবে।’

এ সময় তিনি টিকাদানে ডিএনসিসির সক্ষমতা আরো বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন তিনি।

সোমবার ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনে আয়োজিত E-Tracker, GIS-Based Online Micro Planning & Real-Time Reporting প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শিশুদের যদি যথাসময় টিকা দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে ছোট থেকেই তারা সুস্থ, সবল থাকবে। এ জন্য যদি সিটি কর্পোরেশনের আরো ভ্যাকসিনেটর প্রয়োজন হয় সিটি কর্পোরেশন সেটারও ব্যবস্থা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এক সময় এই দেশে টিকাদান কার্যক্রম চালানো অনেক কঠিন ছিল। টিকাদানে বাংলাদেশ আজ সফলতা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্জন করেছেন ভ্যাকসিন হিরো পুরষ্কার। এটাই বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের সফলতা।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ ইমা ব্রিংহাম, ডব্লিউএইচও’র টিমলিডার-আইভিডি ডা. রাজেন্দ্র বহরা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী প্রমুখ।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন টিকাদান কর্মসূচিতে ইউনিসেফের সহযোগীতায় ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম অক্টোবর ২০২৩ হতে এবং জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যান ও ডেইলী রিপোর্টিং জানুয়ারি ২০২৪ হতে সফল ভাবে চলছে। ইপিআই কর্মসূচিকে অধিকতর সাফল্যমন্ডিত করার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহযোগীতায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এ ২০১৮ হতে কর্মজীবী মায়ের শিশুদের জন্য সান্ধ্যকালীন টিকাদান কর্মসূচি ও ২০২৩ হতে ফ্রাইডে সেশন পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ২০২২ হতে ডিএনসিসিতে ৮৫ জন টিকাদান কর্মী ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যাদের মাধ্যমে ১৭০টি টিকাদান কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালে ৭৯,৫৩২টি শিশু ও ২০২৪ সালে ৩৯,৫৯১টি শিশু টিকাদান সেবা গ্রহণ করেছেন।

ডিএনসিসি ১,২০,০০০ শিশু লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ই-ট্র্যাকার এ ৮২,০০০ (৭০ শতাংশ) শিশু রেজিষ্ট্রার করা হয়েছে। সেই সাথে শতভাগ জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যানিং সম্পন্ন হয়েছে ও ডেইলী অনলাইন রিপোর্টিং চলমান রয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে ১,৯৩৬ টি জিরো ডোজ ও ১১,১৭০ টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত এবং ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১,০৮১টি জিরো ডোজ ও ৮,৫১১টি আংশিক টিকাপ্রাপ্ত শিশু খুঁজে বের করা হয়েছে ও টিকা প্রদান করা হয়েছে।

-এবি