সবজির পাইকারি-খুচরা দামে বিস্তর ফারাক

আগাম শীতকালীন শাক-সবজিতে ভরে গেছে খুলনার বাজার। যদিও শীত আসতে বাকি আরও কিছুদিন।

পাইকারি ও খুচরা বাজারে সবজির দামে বিস্তর ফারাক রয়েছে। পাইকারি বাজারে সবজির দাম কিছুটা সস্তা থাকলেও খুচরা বাজারে দাম চড়া। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই ক্রেতাদের মধ্যে।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রূপসার কাঁচাবাজারের ক্রেতাদের থেকে জানা যায়, খুচরা বাজারে শাক-সবজির দাম খুবই চড়া। অথচ শুনেছি পাইকারি বাজারে দাম অনেক কম। বাজারে নৈরাজ্য বন্ধে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছি। নিত্যপণ্যের দাম জনগণের নাগালের মধ্যে রাখতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিটি বাজারে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক বাজার মনিটরিং সেল বসানো এখন সময়ের দাবি।

বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উৎপাদন ও সরবরাহ কম, এমন নানা অজুহাতে প্রতিদিনই বাড়ছে শাক-সবজির দাম। সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় অনেকটা অসহায় হয়ে চাহিদার তুলনায় কম সবজি কিনছেন অনেকে।

খুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ সোনাডাঙ্গা পাইকারি কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, পেঁপের কেজি ৮টাকা, যা খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজি। বাঁধাকপি ২৫ টাকা কেজি, খুচরা বাজারে যার দাম ৫০ টাকা কেজি। ফুলকপি ৩৫ টাকা, খুচরা বাজারে ৬০ টাকা। মুলা ২০ টাকা কেজি, খুচরা বাজারে ৪০ টাকা। ওলকপি ৫০ টাকা কেজি, খুচরা বাজারে ১০০ টাকা। বেগুন ২৫ টাকা কেজি, খুচরা বাজারে ৫০ টাকা। টমেটো ৫০ টাকা কেজি, খুচরা বাজারে ৯০ টাকা। লাউ শাক কেজি ১৩ টাকা, খুচরা বাজারে ৩০ টাকা। কাঁচকলা হালি ১৪ টাকা, যা খুচরা বাজারে ৩০ টাকা।

রুমা বাণিজ্য ভান্ডারের এক আড়তদার জানান, খুলনাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ বাজারে কৃষক ও ব্যাপারিরা প্রতিদিন কয়েকশ ট্রাক সবজি নিয়ে আসেন এ বাজারে। একই সঙ্গে খুলনা, বরিশালসহ প্রায় ৩০ জেলার পাইকারি ব্যবসায়ীরা এ বাজার থেকে পণ্য কিনে নিয়ে যান। শীতকালীন আগাম শাক সবজির দাম এখানে কম হলেও খুচরা বাজারে দাম বেশি বলে জানান তিনি।