উপকূলীয় ১২টি জেলায় ওয়ান টাইম প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক

উপকূলীয় ১২টি জেলায় ৪০ উপজেলা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর আটটি এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ (ওয়ান টাইম) প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।

তিন বছর মেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসব এলাকার সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা হবে।

সম্প্রতি পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি কর্ম পরিকল্পনার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

যেসব এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- বাগেরহাট জেলার মোংলা, শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ; বরগুনা জেলার আমতলী, সদর, পাথরঘাটা ও বামনা; ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশনে, দৌলতখান লালমোহন, মনপুরা ও তজুমুদ্দিন; চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা, বাঁশখালী, মীরসরাই, সন্দ্বীপ ও সীতাকুণ্ড এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর, ডাবলমুরিং, পাহাড়তলী, পাঁচলাইশ, পতেঙ্গা, হালিশহর, কোতোয়ালী ও বায়েজীদ বোস্তামী; কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, রামু ও টেকনাফ; ফেনী জেলার সোনাগাজী; খুলনার দাকোপ ও কয়রা; লক্ষ্মীপুরের রামগতি; নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, হাতিয়া ও সদর; পটুয়াখালী জেলার দশমিনা, রাঙ্গাবালী, গলাচিপা ও কলাপাড়া; পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া; এবং সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর।

তিন ধাপে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। যেসব সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য বন্ধ করা হবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওয়ান টাইম গ্লাস প্লেট ও অন্যান্য পণ্য; জুসের স্ট্র, ললিপপ কভার, স্যাসেট, সিগারেটের ফিল্টার, কটন বাড, সার্জিক্যাল গ্লভস বা মাস্ক এবং নন-রিসাইকেবল পণ্য (মাল্টিলেয়ার প্যাকেট)।

পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম ধাপে ২০২১ সালের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান, অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দর; দ্বিতীয় ধাপে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হোটেল-মোটেল রেস্টুরেন্ট; একই বছর ডিসেম্বরের মধ্যে সৈকত সংলগ্ন হাট বাজার, বাস স্টান্ড, ঘোষিত পাবলিক প্লেস উপজেলা অন্তর্গত সরকারি-আধা সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে সৈকত সংলগ্ন সকল উপজেলা এবং ডিসেম্বরের মধ্যে সৈকত সংলগ্ন জেলায় সিঙ্গেল প্লাস্টিক পণ্য বন্ধ করা হবে।

এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কোস্টাল এলাকায় পরিবেশসম্মতভাবে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে বর্জ্য সংগ্রহ ও বর্জ্য ফেলার সুবিধাদি স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।