গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষায় ১ আসনে লড়ছেন ৯ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য বিভাগ) পরীক্ষায় আসন সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার। এর বিপরীতে পরীক্ষায় বসছেন ৩৩ হাজার ৪৩৬ শিক্ষার্থী। ফলে একটি আসনের বিপরীতে ৯ জনের বেশি অংশ নিচ্ছেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে একযোগে দেশের ২২টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার বিষয়সমূহ
বাণিজ্য বিভাগের ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানে ২৫, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনায় ২৫, বাংলায় ১৩, ইংরেজিতে ১২ ও আইসিটিতে ২৫ নম্বর থাকবে। পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.২৫ নম্বর।

২২টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৬৭ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮১৮৬ জন, শেরে-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩৪১ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১৭৩ জন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৬০জন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭৬৭ জন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫২৫জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০০ জন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩৯৯ জন, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২৮৮জন, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৪৮ জন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩৬৯জন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১১২ জন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩৫৪ জন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৯৯ জন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১৯জন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭৬৭ জন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৩৫জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৯০জন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৯৭ জন, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৭৬ জন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবেন।

গুচ্ছ ভর্তিপরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের ২২টি কেন্দ্রে একযোগ বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র ও উপস্থিতি তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছি। আশা করি কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হবে।

ফলাফল প্রকাশ বিষয়ে শাবি উপাচার্য জানান, ‘এ’ এবং ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল দ্রুতই প্রকাশ করতে পেরেছি। আশা করি আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে বাণিজ্য বিভাগের ফলও প্রকাশ করতে পারবো।