জাটকা সংরক্ষণে অতিরিক্ত ৬ লাখ টন ইলিশ আহরণ সম্ভব

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম
যথাযথভাবে জাটকা সংরক্ষণ করতে পারলে অতিরিক্ত ছয় লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

সোমবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে সহনশীল আহরণ ও জাটকা সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)। রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে কর্মশালায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন মন্ত্রী।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ইলিশ আন্তর্জাতিক পরিসরে জিআই সনদপ্রাপ্ত অত্যন্ত সুস্বাদু মাছ। বিশ্বের সর্বোচ্চ ইলিশ উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশ। শুধু জাটকা সংরক্ষণ করা হলে আরও ছয় লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণের সুযোগ আমরা দিতে পারবো। এ জন্য জাটকা রক্ষায় সবাইকে যত্নশীল হতে হবে।

মন্ত্রী জানান, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল দুই লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন। সরকার গৃহীত ব্যবস্থাপনা কৌশল সঠিকভাবে বাস্তবায়নের ফলে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে জাটকা ও প্রজননক্ষম ইলিশ সংরক্ষণ এবং অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার ফলে ইলিশের আকার অনেক সুষম হয়েছে। বাজারে বিভিন্ন আকারের ইলিশ মাছ প্রায় সব সময়ই পাওয়া যাচ্ছে। অতীতে পাওয়া না গেলেও এখন শীতকালেও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বিপুল পরিমাণ ইলিশ উৎপাদন এমনকি শীত মৌসুমেও ইলিশ প্রাপ্তির সুযোগ আমাদের হয়েছে।