দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সংসদে ক্ষোভের মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সংসদে ক্ষোভের মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সংসদে এমপিরা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সাধারণ মানুষ অ্যাফেকটেড (ক্ষতিগ্রস্ত) হচ্ছে। তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কঠোরভাবে বাজার নজরদারি করতে হবে। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সিন্ডিকেট মূল্যবৃদ্ধি করতে পারে না।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সংসদে বাণিজ্য সংগঠন বিল পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিলের ওপর আলোচনাকালে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সিন্ডিকেটের স্বার্থে বিলটি আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে সিন্ডিকেটকে উৎসাহী করা হচ্ছে।

বিরোধী এমপিদের বক্তব্যের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আমি বরাবরই লক্ষ্য করি একটা ব্যাপার কোনো কোনো সদস্য আমার মন্ত্রণালয়ের কোনো কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলেন যে বাণিজ্যমন্ত্রী নিজে ব্যবসায়ী সেহেতু সেই দিকটাকেই বেশি করে দেখানো হয়।

তিনি বলেন, ‘ব্যবসা করি আজ ৪০ বছর, রাজনীতি করি ৫৬ বছর। ’৬৬ সাল থেকে শুরু করেছি কিন্তু রাজনীতিবিদ হতে পারিনি। এই ঢাকা শহরে অর্ধেকের সময় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম ’৭৩ সালে। ’৬৯ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার, উকিল যখন পার্লামেন্ট মেম্বার হন, ডাক্তার যখন হয় তাকে কেউ বলে না যে উকিল কেন আসছে? কিন্তু আমি ব্যবসায়ী বলে আমার অপরাধ।’

টিপু মুনশি বলেন, যুদ্ধের কারণে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, এটা তিনি কখনো বলেননি। প্রতি মাসে তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়। এখন বিশ্ব বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সরকার কোথাও ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে না। ব্যবসায়ীদের সহায়তা করে। যে কেউ চাইলে তেল আমদানি করতে পারে। সরকার সিন্ডিকেট করে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, একটি টিসিবির ট্রাক থেকে আড়াইশ মানুষকে পণ্য দেওয়া হয়। ছবি দেখানো হয় পণ্যের জন্য মানুষ দৌড়াচ্ছে। ৩০০ জন লাইনে দাঁড়ালে ৫০ জন পাবেন না। বাকি ২৫০ জন যে পণ্য পেয়েছেন সেটা দেখানো হয় না।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট বলে যাদের কথা বলা হচ্ছে তারা কেউ রাজনীতি করেন না, তারা কেউ এমপি নন। সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত ফলোআপ করছেন।