বাসী খাবারের রমরমা ব্যবসা!

নিজস্ব প্রতিবদেক:
পেটের ক্ষুধা মেটাতে রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে গেলেন কিন্তু সেই খাবার যদি হয় একদিন আগের বা তারও বেশি দিনের বাসী খাবার? তাহলে ভাবুন তো জেনে-বুঝে এমন খাবার ক’জন মানুষ খেতে চাইবে। তবে না জেনে নিজের অজান্তেই প্রতিনিয়ত অনেকেই এমন খাবার খাচ্ছেন আপনার পাশের হোটেল বা রেস্টুরেন্ট থেকে। রাজধানীর বিভিন্ন হোটেল এবং রেস্টুরেন্টের রান্না ঘর বা ফ্রিজ দেখলেই খাবারের প্রকৃত দৃশ্য হয়তো চোখে পড়বে।

শের ই বাংলা নগরের আইডিবি ভবনের পাশেই ফুড সেন্টার নামের একটি রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে রাখা খাবার দেখে হতবাক হয়ে যান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ঢাকা জেলা) কর্মকর্তারা। সোমবার নিয়তিম অভিযানের অংশ হিসেবে ফুড সেন্টারে অভিযান চালায় তারা।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ঢাকা জেলা) সহকারি পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। এছাড়া তার সঙ্গে ছিলেন, সহকারি পরিচালক ফাহমিনা আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) মো. মাগফুর রহমান।

ফুড সেন্টার রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে রান্না করা বাসী খাবার, রান্নার জন্য মসলা দিয়ে মাখিয়ে রাখা কাঁচা মাংস, দই, কাঁচা সবজি, সস সহ আরও খাবার এবং খাবারের উপকরণ এক সঙ্গে রাখা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অসাস্থ্যকর। একই মালিকের পাশের সিপি সাইনবোর্ড লাগানো দোকান থেকে অবিক্রিত মুরগীর বাসী মাংস ফ্রিজে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

বাসী খাবার এবং রান্না করা খাবারের সঙ্গে কাঁচা মাংস ও রান্নার অন্যান্য উপকরণ রাখার অপরাধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৩ ধারায় দোসী সাবস্ত করে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানাকৃত টাকা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৩ ধারায় বলা হয়েছে:
অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ: মানুষের জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হয় এমন কোন প্রক্রিয়ায়, যা কোন আইন বা বিধির অধীনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কোন পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ করা হলে অনুর্ধ্ব দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনাধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

সহকারি পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হয় ফ্রিজে এমন প্রক্রিয়ায় খাবার রাখার অপরাধে ফুড সেন্টার রেস্টুরেন্টের কর্তৃপক্ষকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে একই ভুল করলে এর থেকেও বড় শাস্তির আওতায় আনা হবে।

আরইউ

Related Post

বাসী খাবারের রমরমা ব্যবসা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পেটের ক্ষুধা মেটাতে রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে গেলেন কিন্তু সেই খাবার যদি হয় একদিন আগের বা তারও বেশি দিনের বাসী খাবার? তাহলে ভাবুন তো জেনে-বুঝে এমন খাবার ক’জন মানুষ খেতে চাইবে। তবে না জেনে নিজের অজান্তেই প্রতিনিয়ত অনেকেই এমন খাবার খাচ্ছেন আপনার পাশের হোটেল বা রেস্টুরেন্ট থেকে। রাজধানীর বিভিন্ন হোটেল এবং রেস্টুরেন্টের রান্না ঘর বা ফ্রিজ দেখলেই খাবারের প্রকৃত দৃশ্য হয়তো চোখে পড়বে।

শের ই বাংলা নগরের আইডিবি ভবনের পাশেই ফুড সেন্টার নামের একটি রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে রাখা খাবার দেখে হতবাক হয়ে যান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ঢাকা জেলা) কর্মকর্তারা। সোমবার নিয়তিম অভিযানের অংশ হিসেবে ফুড সেন্টারে অভিযান চালায় তারা।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ঢাকা জেলা) সহকারি পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। এছাড়া তার সঙ্গে ছিলেন, সহকারি পরিচালক তাহমিনা আক্তার, সহকারী পরিচালক মেন্ট্রো মো. মাগফুর রহমান।

ফুড সেন্টার রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে রান্না করা বাসী খাবার, রান্নার জন্য মসলা দিয়ে মাখিয়ে রাখা কাঁচা মাংস, দই, কাঁচা সবজি, সস সহ আরও খাবার এবং খাবারের উপকরণ এক সঙ্গে রাখা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অসাস্থ্যকর। একই মালিকের পাশের সিপি সাইনবোর্ড লাগানো দোকান থেকে অবিক্রিত মুরগীর বাসী মাংস ফ্রিজে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

বাসী খাবার এবং রান্না করা খাবারের সঙ্গে কাঁচা মাংস ও রান্নার অন্যান্য উপকরণ রাখার অপরাধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৩ ধারায় দোসী সাবস্ত করে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানাকৃত টাকা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৩ ধারায় বলা হয়েছে:
অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ: মানুষের জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হয় এমন কোন প্রক্রিয়ায়, যা কোন আইন বা বিধির অধীনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কোন পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ করা হলে অনুর্ধ্ব দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনাধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

সহকারি পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হয় ফ্রিজে এমন প্রক্রিয়ায় খাবার রাখার অপরাধে ফুড সেন্টার রেস্টুরেন্টের কর্তৃপক্ষকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে একই ভুল করলে এর থেকেও বড় শাস্তির আওতায় আনা হবে।

আরইউ