ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ১৬৭টি প্রতিষ্ঠানকে টাকা জরিমানা

ভোক্তাকণ্ঠ প্রতিনিধি: করোনাভাইরাস আর রমজান মাসকে পুঁজি করে কারসাজি, আইন অনুযায়ী নিত্যপণ্যের মূল্য প্রদর্শন না করা, বেশি দামে পণ্য বিক্রি, ওজনেও কম দেওয়া সহ নানা অভিযোগে অভিযান চালিয়ে ১৬৭টি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ (৩০ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের এক সহকারী পরিচালক জানান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সার্বিক নির্দেশনায় ও অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহার নেতৃত্বে সারাদেশে ১০৬টি পাইকারি ও খুচরা বাজারে অভিযান করা হয়। এসময় মোট ১৬৭টি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

মহানগরের ১৬টি স্থানে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য বিক্রিও (ট্রাকসেল) তদারকি করা হয়। অধিদপ্তরের আট জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরীর ২৩টি বাজারে (পাইকারি ও খুচরা) অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়া ঢাকার বাইরের বিভাগে উপ-পরিচালক ও জেলায় সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে ৮৩টি বাজারে অভিযান চালানো হয়।

ঢাকায় অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) শামীম আল মামুনের তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মাসুম আরেফিন ও বিকাশ চন্দ্র দাস এবং সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল, রোজিনা সুলতানা, মাগফুর রহমান, ইন্দ্রানী রায় ও মাহমুদা আক্তার।

অভিযান প্রসঙ্গে অধিদপ্ততরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বলেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাণিজ্যমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতায় ও নির্দেশনায় প্রতিদিন রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পাইকারি ও খুচরা বাজার তদারকি করা হচ্ছে। সরবরাহের যেকোনো পর্যায়ে কোনো অসাধু ব্যক্তি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও মান নিয়ে কারসাজি করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

তিনি উৎপাদক, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্যের ক্রয় মূল্যের ভাউচার ও মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করতে এবং ন্যায্যমূল্যে তা বিক্রির জন্য উদাত্ত আহ্বানও জানান।

অভিযানকালে ভোক্তাদের সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য কিনতে আহ্বান জানানো হয়।