কৃষক ধানের ভালো দাম পেলেই আমরা খুশি: খাদ্যমন্ত্রী

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকার চায় কৃষক তার ফসলের ভালো দাম পাক। কৃষক ভালো দাম পেলেই আমরা খুশি। আর সেটা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।

রোববার সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান-২০২৩ এর ভার্চুয়াল উদ্বোধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সরকার এবার বেশি দামে ধান কিনছে। কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনা করেই এটা করা হয়েছে। কৃষকরা ধান দিতে এসে যেন কষ্ট না পায়। কৃষক ধান দিতে এসে যেন ফেরত না যায়, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে ধানের আর্দ্রতার পরিমাণ ১৪ ভাগের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যাবে না। আর্দ্রতা ঠিক থাকলে ধান ফেরত দেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপোষ হবে না। মান ঠিক রেখে, সঠিকভাবে শতভাগ চাল সংগ্রহ সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকে মনে করেছিল, দেশে দুর্ভিক্ষ হবে, অনেক কামাই করবে। এজন্য আমন মৌসুমে তারা মজুদ করেছিল। কিন্তু তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।

তিনি জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার ৪ লাখ টন বোরো ধান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কৃষক ধানের সঠিক দাম না পেলে সরকার প্রয়োজনে ৭-৮ লাখ টন ধান কিনবে। আর চাল কেনা হবে সাড়ে ১২ লাখ টন।

তিনি আরও বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে কৃষকের সব ধান কেটে ফেলা উচিত। কেননা, এরই মধ্যে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসনও কৃষকদের এ বিষয়ে সচতেন করতে ভূমিকা রাখতে পারে।

গত মৌসুমে যে সকল মিল মালিক চাল দেওয়ার জন্য চুক্তি করেনি তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে ফিট লিস্টে নাম না পাঠানোর জন্য খাদ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা চুক্তি করে সরকারকে সহায়তা করেছে তারা সরকারের সুনজরে আছে। যারা আংশিক শর্ত পূরণ করেছ তারাও এ বছর চুক্তি করতে পারবে। একই সঙ্গে কেউ যেন অবৈধ মজুত করতে না পারে— এ বিষয়েও কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় বোরো ধান, চাল ও গমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

সভায় আসন্ন বোরো সংগ্রহ-২০২৩ মৌসুমে ৪ লাখ টন ধান, ১২.৫০ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ১ লাখ টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আজ থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে।

প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৫ টাকা। ২০২২ সালে ধান ২৭ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং গম ২৮ টাকায় সংগ্রহ করা হয়েছিল।