ভরা মৌসুমেও ফলের বাজার চড়া

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: অন্য মাসের তুলনায় এই দুই মাসে বাজারে ফলের উপস্থিতি থাকে বেশি, আছেও। কিন্তু দাম বেশি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
মঙ্গলবার (৯ মে) রাজধানীর বিভিন্ন ফলের বাজার থেকে এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দেশি-বিদেশি ফলের যোগান থাকলেও, দামটা নাগালের বাইরে। বাজারে দেখা গেছে, রমজানের পর তরমুজের দাম কিছুটা কমলেও, সেটি এখনো বেশিই। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি তরমুজের দাম এখনো ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

এছাড়া আঙুর, মালটা, নাশপাতি, আপেলের দাম কিছুটা কমলেও তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

এর কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলছেন, আড়তে দাম না কমায় খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে। তবে ক্রেতাদের মতে, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণেই অস্থিতিশীল ফলের বাজার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রেতারা জানান, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে ফলের বাজার অস্থিতিশীল। উৎপাদক ও আমদানী পর্যায় থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত তদারকি না থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। সরকারের সহযোগিতা থাকলে মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট ভেঙে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে মনে করেন ভোক্তারা।

মান ও স্বাদভেদে বাজারে আঙুর ২৫০-৩০০ টাকা, আপেল ২৮০-৩২০ টাকা, গালা আপেল ২৫০ টাকা, মালটা ১৮০ টাকা, ড্রাগন ফল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া দেশী ফলের মধ্যে আনারস প্রতি পিস ৫০-১০০ টাকা, পেয়ারার কেজি ৬০-৮০ টাকা, লটকন ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা এবং সবরি কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

মৌসুমি ফলের মধ্যে আমের দাম স্বাদ, আকৃতিভেদে ১৫০-২০০ টাকা, কাঁঠাল আকৃতিভেদে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, জাম প্রতি কেজি ১৫০-১৮০ টাকা, লিচু ১০০ পিস ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে মৌসুমি ফলের সরবরাহ আরও বাড়লে স্থিতিশীল হবে ফলের বাজার।