সবজির বাজারে নেই ক্রেতা তবুও দাম চড়া

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: কাঁচাবাজারে অধিকাংশ দোকান বন্ধ, ক্রেতাদেরও আনাগোনা কম। তারপরও চড়া সবজির দাম। অন্যদিকে ঈদের দুই দিন আগে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে।

রোববার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সবজি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা, যা ঈদের আগেও ৫০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। ১০ টাকা কমে ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। কাঁচা আম ঈদের আগে ১২০-১০০ টাকায় বিক্রি হলেও ঈদের দ্বিতীয় দিন প্রতি কেজি কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

এছাড়া কচুরমুখী প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, প্রতি কেজি বেগুন মান ভেদে ৬০-৬৫ টাকা, কাঁকরোল ৯০-১০০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, লতি ৬০-৭০ টাকা, সজনে ডাটা ৯০-১০০ টাকা, গাজর ৮০-১৪০ টাকা, লাউ ৫০- ৭০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, শসা ৯০ টাকা, টমেটো ৪০-৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, শিম ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ঈদের দিন ও তার আগের দিন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকায় বিক্রি হলেও ঈদের দ্বিতীয় দিন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৭০-৩৮০ টাকায়, গরুর মাংস প্রতি কজি ৭৮০-৮০০, খাসির মাংস ১২৫০-১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লাল ডিম প্রতি ডজন ১৩০ টাকা ও হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে অপরিবর্তিত আছে চালের বাজার। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭২ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা, স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকা, আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা কেজি।

ঈদের পর আটাশ ও মিনিকেট চালের দাম কমবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।