পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে কদর বেড়েছে পাতা-ফুলকারের

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় দেশের বাজারে পণ্যটির দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। এ কারণে চট্টগ্রামে কদর বেড়েছে পেঁয়াজ পাতা ও ফুলকারের।

রিয়াজউদ্দিন বাজারে আড়তে রোববার প্রতি কেজি ফুলকাসহ পাতা বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা, খুচরায় ৫০-৬০ টাকা।

নিউ সোনার বাংলা বাণিজ্যালয়ের ব্যবস্থাপক বলেন, ফরিদপুর থেকে পেঁয়াজের ফুলকাসহ পাতা আসছে। এ জাতের বীজ লাগানো হয় পাতা বা ফুলকা বিক্রির জন্য। এক সপ্তাহ ধরে আসছে বাজারে। আজ প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এক বস্তায় ৪০-৫০ কেজি থাকে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ওজন স্কেল, পথখরচার কারণে সবজির দাম বেশি চট্টগ্রামে।

রিয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা দোকানিরা প্রতি কেজি পেঁয়াজের ফুলকাসহ পাতা বিক্রি করছেন ৫০-৬০ টাকা। তারা বলেন, আড়ত থেকে এক বস্তা পেঁয়াজপাতা কিনতে লেবার চার্জ দিতে হয় ২০-২৫ টাকা। পচা, গলা, নষ্ট থাকে অনেক। তাই খুব বেশি লাভ হয় না।

বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে নিয়মিত সবজি বেচেন মো. রহিম। তিনি বলেন, প্রতি কেজি পেঁয়াজের ফুলকাসহ পাতা ৬০ টাকা। পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় পাতার কদর বেড়েছে।

গৃহিনী কামরুন নাহার বলেন, রাতারাতি পেঁয়াজ ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। বাধ্য হয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো পেঁয়াজ পাতা কিনছি। তরকারিতে পেঁয়াজের সুবাস অন্তত মিলবে।

রিয়াজউদ্দিন বাজারের একজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, চীনা বড় লাল পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, ভারতীয় লাল পেঁয়াজ ২০০ টাকা, সোনালি ১৮০ টাকা, দেশি ছোট পেঁয়াজ ২২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে আজ।

খাতুনগঞ্জের আড়তে শনিবার পাইকারিতে বড় আকারের ভারতীয় পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা বিক্রি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এ মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১১০ টাকায়।

শনিবার পেঁয়াজের বাজার তদারকিতে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযানে চৌমুহনীর কর্ণফুলী মার্কেটের ফারুক স্টোরকে ৩০ হাজার, আলিফ ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা, খাতুনগঞ্জের বরকত ভাণ্ডারকে ২০ হাজার, এ এইস ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, এ কে ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।