‘ই-হেলথ সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে পুরো জাতি উপকৃত হবে’

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ই-হেলথ সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে পুরো জাতি উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন।

রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানস্থ হোটেল রেনেসন্সে এ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রপ্তানিযোগ্য খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে ই-হেলথ সার্টিফিকেট ও অনলাইন ল্যাবরেটরি রেপোজিটরি শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বিটিএফ প্রজেক্টের আয়োজনে বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের মাধ্যমে পুরো জাতি উপকৃত হবে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের নায্যমূল্য পাবে।’

অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার উদাহরণ দিয়ে তিনি স্বাস্থ্য সনদের গুণগতমান নিয়ে কোন আপোষ করা হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় রোধ, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক মানের সঙ্গে সমন্বয় করে পণ্য উৎপাদন সহজ হবে।’

এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এতদিন ধরে চলতে থাকা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে প্রদানকৃত রপ্তানিকৃত খাদ্যপণ্যের সনদ ব্যবস্থাকে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় রূপান্তর করা হয় এবং বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য নিয়ে কাজ করা ৪৪টি ল্যাবের তথ্য অনলাইনে বিন্যস্ত করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত বিটিএফ প্রকল্প ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ যৌথ ভাবে এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রপ্তানি ও পণ্যের গুণগতমান বৃদ্ধি এবং অল্প সময়ে পণ্য রপ্তানির সনদপত্র প্রদান করতে পারবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। রপ্তানিকারক যেকোনো প্রতিষ্ঠান অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে সহজেই এ সনদ পাবে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে সরবরাহকৃত লিংকের মাধ্যমে ডিজিটাল স্বাস্থ্য সনদের জন্য আবেদন করা যাবে।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে মার্কিন কৃষি বিষয়ক অ্যাটাচি সারা গিলস্কি বলেন, ‘আর্ন্তজার্তিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডিজিটাল স্বাস্থ্য সনদ, আমদানি-রপ্তানি বাড়ানো, গুণগতমান বৃদ্ধি, পরীক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

সভাপতির বক্তব্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর কাইউম সরকার বলেন, ‘ই-হেলথ সার্টিফিকেশন ও ল্যাব অটোমেশনের সম্মিলনে খাদ্যের গুণগতমান ও রপ্তানি বাড়বে। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে খাদ্যের নিরাপদতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ল্যাব অটোমেশনের মাধ্যমে ৪৪টি ল্যাবের ১৩৩টি খাদ্যপণ্যের ৬৬৩টি প্যারামিটার সম্পর্কে জানা যাবে যা সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি সুন্দরতম পদক্ষেপ।’

বিটিএফ’র প্রকল্প পরিচালক মাইকেল জে. পার খাদ্যপণ্যের ডিজিটাল স্বাস্থ্য সনদকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ল্যাবরেটরি প্রতিনিধি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, খাদ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

-এসআর