ওয়াসার পানি নিয়ে দুর্ভোগে ধানমন্ডিবাসী

ওয়াসার পানি ময়লা এবং দুর্গন্ধযুক্ত। তাছাড়া ওয়াসার পানির চাপও কম। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ধানমন্ডির বেশ কয়েকটি জায়গার মানুষ।

ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কাছে এমন সমস্যার কথা বেশ কয়েকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা এই সমস্যার সমাধান করছেন না। তবে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা এমন কোনো অভিযোগ পাননি। এজন্য পদক্ষেপও নেননি অভিযোগ এলাকাবাসীদের।

রাজধানীর ১২/এ রোডের তাকওয়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকাসহ ১১/এ, ১০/এ, ৯/এ, ৮/এ, ৭/এ রোডের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশ কয়েক মাস ধরেই ওয়াসার পানির চাপ কম থাকার পাশাপাশি পানিতে ময়লা আসছে। পানি অনেকটা ঘোলাটে এবং দুর্গন্ধযুক্ত। মুখে নেয়া যায় না এমনকি ফুটিয়েও খাওয়া যায় না। আবার অনেকে এই পানি ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

তাকওয়া মসজিদে ওয়াসা থেকে সরবরাহকৃত পানি ব্যবহার করা হয়। এতে অজু করার সময় বিড়ম্বনায় পড়ছেন অনেক মুসল্লি। এক ব্যক্তি জানান, ‘পানি মুখে দিয়ে কুলি করতে সমস্যা হচ্ছে। অনেক দুর্গন্ধ। কিন্তু অজুতো করতেই হবে, তাই করছি।’

৫৯/এ নাম্বার বিল্ডিংয়ের ম্যানেজার জসিম ব্যাপারী বলেন, ‘কয়েক মাস ধরেই বাসার পানি দুর্গন্ধযুক্ত। বারবার টাঙ্কি পরিস্কার করা হয়েছে। তারপরও পানিতে দুর্গন্ধ আসছেই। এ নিয়ে ওয়াসাকে অভিযোগ দেয়া হয়েছে, কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’

৫৭/১ নাম্বার বিল্ডিংয়ের পানিও একই রকম বলে জানান ম্যানেজার মোনায়েম। তিনি বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের দশটি ফ্ল্যাটের সবাই আমাকে বলছেন, পানিতে ময়লা আসছে। পানি দুর্গন্ধ। আমি নিজেও পানি ব্যবহার করতে পারছি না।’

১২/এ রোডের বাসিন্ধারাই নয়, ১১/এ নাম্বার রোডে গিয়েও জানা গেছে একই রকম অভিযোগের কথা। এই রোডের ৭০ নাম্বার বাড়ির ম্যানেজার জালাল উদ্দিন বলেন, ‘ওয়াসার পানি মুখেই নেয়া যায় না। পানির রং লালচে। ময়লাও আসছে। এই পানি ব্যবহার করে শরীরে চর্মরোগ দেখা দিয়েছে।’

‘আমাদের এখানে ২০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ওয়াসাকে অভিযোগ দিয়েছি। কয়েকদিন আগে তারা এসে পানি নিয়ে গেছে। কিন্তু সমস্যা থেকেই গেছে’ জানান জালাল উদ্দিন।

ওয়াসার পানি ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্ধাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। এ সমস্যা সমাধানের কার্যকর কোনো উদ্যোগও চোখে পড়েনি। কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর উদাসীনতার কারণে এখানে বিশুদ্ধ পানির চরম সঙ্কট বলেও দাবি করছেন স্থানীয়রা।

এলাকার ওয়াসার মডস জোনের (লালমাটিয়া) নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মোস্তাকিম হোসাইন বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি। এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নিতাম। এখন বিষয়টি জানলাম, ব্যবস্থা নেব।’