নিত্যপণ্যের দামের তথ্য আদান-প্রদান করা যাবে ৩৩৩ নম্বরে

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরের সঙ্গে বাড়তি একটি সংখ্যা যোগ করে দেওয়া হবে। সেই নম্বরের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দামের তথ্য আদান-প্রদান করা যাবে, একইসঙ্গে জানানো যাবে অভিযোগও।

সোমবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাজার সংক্রান্ত অংশীজনদের অংশগ্রহণে আয়োজিত ‘বাজার দরে অধিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং এ বিষয়ে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে উদ্ভাবনী পরিবর্তন আনায়ন’ সংক্রান্ত পরামর্শক সভার শুরুতে এ কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য যেন আমাদের ক্রয়ক্ষমতার ভেতর থাকে, যার যতটুকু অবদান রাখার সুযোগ আছে সে যেন ততটুকু করে। আমরা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ থেকে আলোচনা করে দেখেছি- যেকোনো পণ্য উৎপাদন, মজুদ, বাজারজাত, বিপণন এবং আমদানি- এ পাঁচটি বিষয়ে সঠিক তথ্য ও তথ্য সংগ্রহ এবং নিজেদের মধ্যে যদি আদান প্রদান করা যায়, তাহলে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

পলক বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে একটি কল সেন্টার চেয়েছে। আমরা আলাদা কল সেন্টার না করে পণ্যের উৎপাদন, মজুদ, বাজারজাত, বিপণন এবং আমদানির রিয়েল টাইম তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দিতে চাই।

তিনি বলেন, রমজান উপলক্ষে আমরা ৩৩৩- এর পরে একটা ডিজিট বরাদ্দ করবো। যেখানে যেকোনো নাগরিক ফোন করে আলু, ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুর বা সবজিসহ সবকিছুর সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম জানতে পারবেন। ওই নম্বরে যেকোনো ভোক্তা পণ্যের তথ্য, অভিযোগ ও পরামর্শ দিতে পারবেন। ভোক্তার অভিযোগ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তরে স্থানান্তর করা হবে এবং অ্যাকশন নেওয়া হবে।

সরকারি গুদামের মজুতের তথ্য জানতে পারলেও বেসরকারি গুদামের মজুত আমরা জানতে পারি না উল্লেখ করে পলক বলেন, আমরা বেসরকারি তথ্যটা চাই। আমরা ‘ফুড ফর ন্যাশন’ এর আওতায় একটি ওয়েবসাইট খুলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেব, সেখানে পণ্যের উৎপাদন ও মজুতের তথ্য থাকবে। শীর্ষ ব্যবসায়ীদের গুদামে কত পণ্য আছে, তা প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রী স্মার্টফোনে দেখতে পারবেন। কোনো কারসাজি হলে তারা দু’জন জানতে পারবেন। পাশাপাশি পণ্যের দাম ওয়েবসাইটে জনসাধারণের জন্য ওপেন করে দেব যাতে সবাই জানতে পারেন। এভাবে যেখানে সরবরাহ কম থাকবে সেখানে পরের ঘণ্টায় সরবরাহ বাড়িয়ে স্বাভাবিক করে দেওয়া হবে। তাহলে মার্কেট ডাউন হয়ে যাবে, যারা মজুত করবে তারা লস খাবে।

তিনি বলের, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শহর থেকে গ্রামে দামের ফারাক কমানো, মজুমদারদের কারসাজি এড়ানো এবং পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করাই উদ্দেশ্য।