অনলাইনে কোরবানির পশু বেচা-কেনার বহুমুখী পথ খুঁজছে সরকার

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির পশুর হাট বসবে কি-না তা নিয়ে ভাবছে সরকার।

চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আগামী ২১ বা ২২ জুলাই দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।

করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যে ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর পশুর হাটগুলো অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে।

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে পশুর হাট বসানো হবে কি-না, হলেও কীভাবে বসানো হবে- সেই বিষয়ে আলোচনা করছে সরকার। এবার অনলাইনে গরু বেচা-কেনার দিকে বেশি ঝোঁক সরকারের। সেজন্য অনলাইনে পশু বিক্রির বহুমুখী পথ খোঁজ হচ্ছে।

এ বিষয়ে সোমবার (৫ জুলাই) বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা কোরবানির গরুর হাটগুলোর ডিজিটালি খুব বেশি ইফেকটিভ করার চেষ্টা করছি। মানুষ যাতে গরু কিনতে কম বের হয়।’

রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাট বসবে কি-না এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা যদি পারি ৭০ ভাগ গরুই অনলাইনে বিক্রির প্রচেষ্টা নেব। যদি শতভাগ পারি, শতভাগই। সেটা আমরা কীভাবে করতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।’

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা যদি বলি আপনি এই এই সাইট থেকে গরুর কেনেন এবং সেটা যদি সার্টিফাইড করতে পারি। বলব এই গরুর ওয়েট এত, উচ্চতা এত, লম্বায় এত। গরুগুলো ঢাকাতে বিভিন্ন জায়গা থাকল, সিলেক্টেড হলে নাম্বারি করে পৌঁছে দেয়া হলো।’

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর পৃথক ২৩টি স্থানে অস্থায়ী পশুহাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর মধ্যে ডিএনসিসি এলাকায় ১৩টি, ডিএসসিসি এলাকায় ১০টি হাট বসানোর কথা রয়েছে।