যুক্তরাষ্ট্রে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়, মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে যা ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত্য  দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে আঘাত হানা এ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে শুধু কেনটাকিসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও পাঁচটি অঙ্গরাজ্য।

কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার সিএনএনকে বলেছেন, শুক্রবার রাতের ঘূর্ণিঝড়ে কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে কমপক্ষে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা ১০০ জনেরও বেশি হতে পারে। এটিই রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়।

পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলে শুক্রবার মধ্যরাতের আগেই রাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন তিনি।

গভর্নর বেশিয়ার আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে মেফিল্ড শহরের একটি মোমবাতি কারখানা বিধ্বস্ত হয়। এতে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকারীরা ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। সেখানে আরও উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।

আরকানসাসের গভর্নর জানিয়েছেন, রাজ্যটিতে দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। টেনেসি অঙ্গরাজ্যে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, ইলিনয় রাজ্যে মারা গেছেন ছয়জন ও মিসৌরিতে দুইজন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে কথা বলেছেন সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ারের সঙ্গে।

কেনটাকিতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে পড়েছে হাজার হাজার অধিবাসী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তার প্রশাসন। যাদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের আশ্রয়ের জন্য অস্থায়ী আবাসন তৈরির ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

অন্যদিকে, ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে অ্যামাজনের ওয়্যারহাউজের ভবন ধসে ছয়জন নিহত হয় বলে জানা গেছে। অ্যাডওয়ার্ডসভিল ফায়ার সার্ভিস জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাতে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অ্যামাজনের ওয়্যারহাউজের একটি ভবন ধসে পড়ে।

শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের প্রধান জেমস হুইটফোর্ড জানান, ৪৫ জনকে ওই ভবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখনও উদ্ধার কাজ চলছে। এ দুর্ঘটনায় অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

তিনি এ ঘটনাকে ট্র্যাজিক উল্লেখ করে স্থানীয় সময় শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক টুইট বার্তায় বলেন, ওয়্যারহাউজে ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি মর্মাহত। তিনি তাদের স্বজনদের সব ধরনের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।