দুর্যোগের পাশাপাশি উপকূলে সুপেয় পানির সংকট তীব্র

রবাবরই বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল দুর্যোগপ্রবণ। এসব এলাকায় দূর্যোগের পাশাপাশি রয়েছে সুপেয় পানির সঙ্কট। এ সমস‌্যা এখন আগের চেয়ে আরো তীব্রাকার ধারণ করেছে। দুর্যোগ মোকাবেলা ও বিশুদ্ধ পানি সরবারহ নিশ্চিত করা এখন বড় চ‌্যালেঞ্জ। এ ধরনের সঙ্কট থেকে উপকূলবাসী মুক্তি পেতে চায়।  

প্রাকৃতিক এবং মনুষ্য সৃষ্ট কারণের যৌথ অভিঘাতে পানি সংকট এই অঞ্চলে নানা রূপে দেখা দিচ্ছে। লবণাক্ততা বৃদ্ধি, সাগরতলের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে জোয়ারের তীব্রতা ও উচ্চতা বৃদ্ধি, ভূ-গর্ভস্থ জলে আর্সেনিক দূষণ, জলবদ্ধতা, মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধি, জল ও মাটির দূষণ ইত্যাদি ক্রমেই এই অঞ্চলকে বসবাসের অনুপযোগী করে তুলবে। সেজন্য এই অঞ্চলের সব উন্নয়ন পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সংক্রান্ত উপাত্তসমূহ বিবেচনায় নেওয়া খুবই জরুরি।

বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে খুলনায় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এভাবে মতামত দেন। নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে খুলনা সিটি করপোরেশন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অ্যাওসেড ও উপকূলীয় পানি সম্মেলন কমিটি যৌথভাবে এ আলোচনা সভা আয়োজন করে। সভায় বক্তারা দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার মানুষের সুপেয় পানি সংকট নানা কষ্টের কথা তুলে ধরেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. দিলীপ কুমার দত্তের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সভায় পাইকগাছা উপজেলার ভুক্তভোগী জনগণ উপকূলীয় অঞ্চলের পানি সংকটের চিত্র তুলে ধরেন এবং প্রতিনিয়ত তারা যে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন যেমন পানির লবণাক্ততা, নদীভাঙন, জলোচ্ছ্বাস, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন।

অপরদিকে তীব্র লবণাক্ততার এলাকা ৫ ভাগ থেকে বেড়ে ১৭ ভাগে উন্নীত হবে। লবণাক্ত এলাকা এবং তীব্রতা বৃদ্ধির হিসাবে ইতোমধ্যে ১৯৯০ সালের তুলনায় ১০ ভাগ এলাকা ও ১০ ভাগ তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সূত্র: বাংলা ট্র্রিবিউন.কম