টিকা পেতে দেরি, জনসাধারনের ভোগান্তি সম্ভাবনা

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দাবি চীনের টিকার দাম জনসম্মুখে প্রকাশ পাওয়ায় সেই টিকা পেতে দেরি হচ্ছে । চীনের সিনোফার্ম উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকা কেনা ও দেশে টিকা উৎপাদনের জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে নন-ডিজক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (এনডিএ) স্বাক্ষর হয়। তবে সেই টিকার দাম জনসম্মুখে আসায় বাংলাদেশের প্রতি চীন নারাজ হয়েছে।

তিনি বলেন, চীনের টিকার দামটি যখন জনসম্মুখে চলে আসলো, সে কারণে চীনের আমাদের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে। যেহেতু আমরা নন-ডিসক্লোজারে সই করেছিলাম। নন-ডিসক্লোজার হলো রাষ্ট্রীয় কমিটমেন্ট, আরেক রাষ্ট্রের কাছে। আমরা গোপন রাখবো—এ চুক্তি আমরা করেছি। সেই চুক্তি যদি ভঙ্গ করি তাহলে এক রাষ্ট্র আরেক রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করা হয়।এখন আমাদের টিকা পেতে দেরি হচ্ছে। তাদের অনেক মানাতে হচ্ছে, কথাবার্তা বলতে হচ্ছে। আমরা হয়তো অনেক আগেই পেয়ে যেতাম। কিন্তু এইটুকু কারণে দেরি হয়ে গেল। আর কত দেরি হবে সেটিও বুঝতে পারছি না।

ধারনা করা হচ্ছে, যথাসময়ে দেশে টিকা না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে পারে জনসাধারন। ব্যাপক সংখ্যক মানুষ টিকার আওতায় না আসলে সংক্রমণের হার কমার সম্ভাবনা নেই।

দেশীয় কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য টিকার সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, টিকা একটা খুবই হাই টেকনোলজি। যে কোম্পানিগুলো আছে তাদের আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করছি। তবে তাদের টিকার অনুমোদনের যে প্রক্রিয়া বা স্টেপগুলো আছে তা কমপ্লিট করে আমাদের কাছে আসতে হবে। সেই কমপ্লিট তারা করেনি। যে প্রটোকলগুলো এখনো কমপ্লিট হয়নি, যে প্রটোকলগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সেগুলো কমপ্লিট না করে আসলে আপনি কখনোই টিকা দিতে পারবেন না। আমরা আমাদের মানুষকে তো ঝুঁকিতে ফেলতে পারবো না। তাছাড়া কাজগুলো যদি কমপ্লিট করে আসে এবং সেগুলো যদি সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে সঠিকভাবে একসেপ্টেড হয় তখন ট্রায়ালের অনুমোদন পাবে।