বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রব্য মূল্য : ভাঁজ পড়ছে কঁপালে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চোখে-মুখে চিন্তার ভাব, রাজ্যের হতাশা যেন চেপে বসেছে চেহারায়। বলছি রাজধানী শহরের নিম্ন-আয়ের মানুষজনের কথা। বাজার করতে এসে যেন চোখের কোনে পানি টলমল শুরু করেছে মাসুমের। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই বলে উঠলো, ‘আন্নেরা দেখেন না, কিভাবে বাজারের দাম বাড়তেছে। আমরা তো না খেয়ে থাকতে হবে। যে ক’টাকা আয় করি, তা-দিয়ে সংসার চালানো দায়৷ না খেয়ে থাকা ছাড়া উপায় দেখছি না।’
বেশ কিছুদিন যাবৎ নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য। কোনোভাবেই যেন লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। প্রতিযোগিতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে চাল-ডাল, মুদি-মনোহারি, কাঁচা বাজার কিংবা মসলাগুঁড়া অথবা মাছ-মাংসের মূল্য।

বাজারের আজকের চিত্র যেমনটা দেখা হয়েছে, শীতকালীন সবজি শীতের মৌসুমে তুলনামূলক দাম কম থাকবে এটাই ছিলো স্বাভাবিক, কিন্তু না আজকের বাজারের চিত্র বলছে তার ঠিক উল্টো, বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় সকল ধরনের সবজি মূল্য। প্রতি পিস বাঁধাকপি ৩৮-৪২ টাকা, শিমের কেজি ৬০ টাকা, করলা ৭০, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, বেগুন চলছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। এদিকে খিরা ৪০, পেঁপে ৩০, গাজর ৪০, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মূলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। আবার এসবের মূল্য আবার স্থানভেদে রয়েছে ভিন্নতা।

ব্রয়লারের মূল্য কিছুটা কমলেও বৃদ্ধি পেয়েছে সোনালী মুরগীর দাম। ব্রয়লারের মূল্য গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ৫-১০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৭০-৭৫ টাকা। সোনালী মুরগী বৃদ্ধি পেয়েছে ২০-৩০টাকা। মুরগীর আজকের মূল্য ২৯০- ৩২০ টাকা, গত সপ্তাহের মূল্য ২৬০-২৯০।

বৃদ্ধি পেয়েছে ডিমের মূল্য। ডজন প্রতি গত সপ্তাহের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১০টাকা। এই সপ্তাহে যার বাজার মূল্য ১২০ টাকা।

এছাড়া মাছের দাম দেখা যাচ্ছে সাধারণদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে যাচ্ছে! সবসময়ের মতো তুলনামূলক সস্তা পাঙ্গাশের দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে মাঝারি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, বড় সাইজের ১৯০-২০০ টাকা দরে। চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ২০০-২৫০ টাকা৷ এখানে দাম বেড়েছে প্রায় ৪০-৫০ টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে রুই, কাতল, শিং এবং টাকি মাছের দাম।