রাতারাতি বেড়ে গেলো ইলিশের দাম

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নগরীর মাছের বাজারগুলোতে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে রাতারাতি। পহেলা বৈশাখের সকালটা যেন জমেই ওঠে না পান্তা ইলিশ না হলে। নগরকেন্দ্রিক ক্রেতাদের চাহিদাকে পুঁজি করে ফায়দা লুটছেন পাইকারি ও খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা। এ কারণে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে ইলিশের দাম। এক রাতের ব্যবধানে এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে মানভেদে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ইলিশের সিজন না এবং নববর্ষের বাড়তি চাহিদার জন্য দাম বেড়েছে। তবে এ যুক্তি মানতে নারাজ ক্রেতারা।

কারওয়ান বাজারের ইলিশ ব্যবসায়ীরা বলেন, গত বছরের থেকে এবার মাছের আমদানি কম, কিন্তু চাহিদা বেশি। এ জন্য কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দাম বেড়েছে। গত বছর করোনা ছিল তাই চাহিদা ছিল না। এবার করোনার তেমন প্রভাব নেই, তাই সবাই টুকটাক করে একটা না একটা ইলিশ কিনছেন। গত বছরের তুলনায় এবছর চাহিদা অনেক বেশি। তাই দামটাও বাড়তি।

শুধু যে বড় ইলিশের দাম বেড়েছে তা নয়। ছোট আকারের ইলিশের দামও চড়া। ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৬৫০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি এক হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে হঠাৎ ইলিশের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। সামনে ঈদ, রমজানের পণ্যের দাম বাড়তি।

আগে বৈশাখ এলে বাজারগুলো ইলিশে ভরা থাকতো। এমনকি পাড়ায়-মহল্লায়ও ফেরি করে ইলিশ বিক্রি করতেন মাছ বিক্রেতারা। কিন্তু এবার তেমনটি দেখা যায়নি।

এদিকে, বৈশাখে কী পরিমাণ ইলিশ প্রয়োজন হয় তার সঠিক তথ্য নেই মৎস্য অধিদপ্তরে। তবে ইলিশের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে বৈশাখে। তাছাড়া বর্তমানে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। এই কারণে বাজারেও দাম কিছুটা বাড়তি।

মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহা. আতিয়ার রহমান বলেন, এখন বড় ইলিশ ধরতে মানা নেই। তবে অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরা যাবে না।

দাম হঠাৎ বাড়তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণ নেই। মূলত চাহিদা বেশি থাকার কারণে দাম বাড়তি। জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাপকহারে ধরা ইলিশ পড়বে, তখন আবারও বাজার স্বাভাবিক হবে। তবে রাতারাতি দাম বৃদ্ধির কারণ নেই। নববর্ষকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করেই হয়তো দাম বৃদ্ধি করেছে।