ই-কমার্সের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা

ই-কমার্স পেমেন্টে নীতিমালা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। যেসব অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সাত দিনের মধ্যে গ্রাহকের পণ্য বা সেবা সরবরাহ করবে না, তাদের ক্ষেত্রে অর্থ ছাড়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার মানে ক্রেতা পণ্য হাতে পাওয়ার পরই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের হিসাবে অর্থ পরিশোধ হবে।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের পণ্য বা সেবা বুঝিয়ে না দিয়ে বিক্রয় মূল্য পাবে না। যেসব প্রতিষ্ঠান ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে গ্রাহকের কাছে পণ্য বা সেবা পৌঁছে দেবে, তারা সহজেই ওই সেবা বা পণ্য বাবদ অর্থ পাবেন।

ক্রেতাদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে ই-কমার্স ব্যবসায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চত করতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ।

বুধবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস্ ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। সব তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস-এমএফএস (বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি) পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডর (পিএসপি) ও পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরগুলো (পিএসও) ডিজিটাল কমার্স লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যসেবার বিপরীতে গ্রাহকের পরিশোধ করা অর্থ কিভাবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান (মার্চেন্ট) পেমেন্ট করবে তার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নির্দেশনা বলা হয়েছে, ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা সরবরাহের বিপরীতে অর্থ ছাড়ের জন্য যে তালিকা দেবে, সেই তালিকার কোনো গ্রাহক থেকে সেবা বা পণ্য না পাওয়ার প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাইতে পারবে অর্থ পরিশোধ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সে ক্ষেত্রে পণ্য বা সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে।

এছাড়া ভুল তথ্য প্রদানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে ওই প্রতিষ্ঠানের অর্থ পরিশোধ সেবা স্থগিত করতে হবে। পাশাপাশি বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হবে। এ ধরনের তালিকাভুক্ত ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান পরে সব ধরনের পরিশোধ সেবা নেওয়ার যোগ্যতা হারাবে।

এমনকি ভাউচারের বিপরীতে পণ্য ক্রয় বা সেবা গ্রহণ না করা পর্যন্ত অর্থ ছাড় করা যাবে না। ভাউচার ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি করা খরচের অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে সন্তুষ্ট হওয়ার পর খরচের সমপরিমাণ অর্থ ছাড় করা যাবে।