অবৈধ সিন্ডিকেট ভাঙা ও পৃথক ভোক্তা মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে ক্যাবের মানববন্ধন

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট : দেশের নিত্যপণ্যের বাজারে চলছে চরম অস্থিরতা। এ নিয়ন্ত্রণহীনতার জন্য বরাবরই অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। এমন পরিস্থিতে অবৈধ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে জনস্বস্তি ফেরানোর আহ্বান জানিয়ে মানববন্ধন ও র‍্যালি করেছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

এ সময় ভোক্তার অধিকার রক্ষায় পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনেরও আহ্বান জানানো হয় সংঠনটির পক্ষ থেকে।

শনিবার সকালে রাজধানীর উত্তরার ১৩ নং সেক্টরের কেন্দ্রীয় পার্কের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন শেষে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পার্কের সামনে এসে র‍্যালিটি শেষ হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূইয়া।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব শরিফুর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ১৩ নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মুমতাজুল করিম।

আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যাব উত্তরা শাখা কমিটির সভাপতি শাহিনা রহমান (পপি), সাধারণ সম্পাদক স্বপন দেবনাথ, উপদেষ্ট্রা খলিলুর রহমান, প্রভাতি কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সমাজকর্মী মুনিশা খাতুন, মো. শাহজাহান মুন্সি, শওকত আলী খানসহ উত্তরার সচেতন নাগরিক এবং ক্যাবের সদস্যবৃন্দ।

এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূইয়া বলেন, আজকের মানববন্ধনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সারাদেশের মানুষের ভোক্তা-অধিকার রক্ষা করা। আপনারা জানেন যে, আমাদের দেশে প্রচুর আইন আছে কিন্তু তার
প্রয়োগ নেই। যারা অসাধু সিন্ডিকেট করে বাজার ব্যবস্থাকে অস্থির করে তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সারাদেশের ভোক্তাদের পক্ষ থেকে ক্যাব জোর দাবি জানাচ্ছে। সিন্ডিকেটকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারের হাত অনেক লম্বা। সরকার ইচ্ছে করলে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে পারে। তাই ক্যাবের পক্ষ থেকে এই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ক্রেতার জীবন সচ্ছল করতে এবং ভোক্তা-অধিকার রক্ষা করার জন্যে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে সার্বিক সহোযোগিতা করে উত্তরা প্রভাতি কল্যাণ সংস্থা, ১৩ নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার ফেয়ার সোসাইটি, গেট রেডি উত্তরা, ইনার হুইল ক্লাব অব উত্তরা, প্রবীণ কল্যাণ সংস্থা, উত্তরাসহ স্থানীয় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।