ধর্মঘটে কুষ্টিয়ার চালের মোকামে স্থবিরতা

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় চলমান পরিবহন ধর্মঘটে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর এলাকায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। যেকোনো সময় চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে কুষ্টিয়া শহরের পৌর বাজার এবং বড় বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে বাজারে অটো রাইচ মিলে ভাঙানো মিনিকেট চাল ৫৮ টাকা, সাধারণ মিনিকেট ৫৬ টাকা, কাজললতা ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, আঠাশ ৪৮ টাকা, বাসমতি ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা, কাটারীভোগ ৬০ টাকা, স্বর্ণা ৪৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সরকার মোটা চাল ৪০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করার ঘোষণা দেওয়ায় গত মাসের (অক্টোবর) শেষ সপ্তাহ থেকে কুষ্টিয়ার বাজারে মোটা চালের দাম কেজি প্রতি দুই টাকা বেড়েছে। আগে মোটা চাল ৫০ কেজির বস্তা খাজানগর মিল গেটে ছিল ১৮৫০ টাকা। এখন তা বেড়ে গিয়ে ১৯২০ থেকে ১৯৫০ টাকা বস্তা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে চলমান পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কুষ্টিয়ার খাজানগর থেকে গত তিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাল বোঝাই ট্রাক চলাচল বন্ধ আছে।

খাজানগর এলাকার মিল মালিকরা জানান, প্রতিদিন এই মোকাম থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কমপক্ষে ২০০ থেকে ২৫০ চাল বোঝাই ট্রাক ছেড়ে যায়। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চাল বোঝাই ট্রাক আটকে আছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধান বলেন, ধান-চাল সব কিছুর সঙ্গে জ্বালানি তেলের একটি যোগসূত্র আছে।

তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকাম থেকে ঢাকায় একটি ১৫ টন চাল বোঝাই ট্রাক যেতে এখন ভাড়া লাগছে ১৫ হাজার টাকা। ডিজেলের দাম বাড়ায় ট্রাক ভাড়া আরও দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বাড়বে। আবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধান সংগ্রহ করে মোকামে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও ট্রাক ভাড়া বেড়ে যাবে। যে কারণে চালের দাম অটোমেটিকভাবেই বাড়বে পাবে।