ঘি নেই তবু ঘিয়ে ভাঁজা

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ২৫ মার্চ দুপুরে রংপুর নগরীর তাজহাট মেট্রো থানার অন্তর্গত ডিমলা এলাকার কানুনগো টোলায় অবস্থিত ‘ফুলকলি ব্রেড এন্ড লাচ্ছা’ কারখানায় ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান চালায়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব আফসানা পারভীন এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা কালে দেখা যায় যে,গত ২২ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত উৎপাদিত লাচ্ছা সেমাই আগামী ২৬ মার্চ অগ্ৰিম উৎপাদন তারিখ বসিয়ে সুন্দর মোড়কে প্যাকেটজাত হচ্ছে।

বর্তমান ঠিকানা এবং নগরীর অন্যত্র এলাকার দুটি ঠিকানা প্রস্তুতকারকের স্থানে বসিয়ে দেয়া হচ্ছে। পামঅয়েল ও ডালডা দিয়ে ভেজে লিখে দেয়া হচ্ছে ঘিয়ে ভাঁজা। প্রকৃত অর্থে সেখানে ঘিয়ের কোনো অস্তিত্ব নেই। ঐ সেমাই এর উপর ঘি ফ্লেভার স্প্রে করে অতিরিক্ত মূল্য বসিয়ে দেয়া হচ্ছে। মূলত এভাবেই তৈরি হচ্ছে ফুলকলির তৈরি ‘আলাউদ্দিন লাচ্ছা’।

এসব কারনে ভোক্তা অধিকার আইনের ৩৭ ধারায় নগদ ছয় হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা ও সতর্ক করেন সহকারী পরিচালক জনাব আফসানা পারভীন।
অভিযানে সহায়তা করে ক্যাব রংপুর ও তাজহাট মেট্রো থানার পুলিশ।

ওদিকে নগরীর সিটি বাজার এলাকায় নিত্য পণ্যের মূল্য সহনীয় মাত্রায় রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জনাব মোঃ আজাহারুল ইসলাম (সিনিয়র সহকারী সচিব)এর নেতৃত্বে অপর একটি দল নিয়মিত তদারকি অভিযান পরিচালনা করে। এতে সহায়তা করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ আনসার।