‘পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে’

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে পেঁয়াজের যে বাজারমূল্য তা অস্বাভাবিক। এই মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে সকলকে একত্রিত কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন স্মার্ট বাজার ব্যবস্থা। সে ক্ষেত্রে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে প্রয়োজন অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সকলে সমন্বিত হয়ে কাজ করা, যেন তারা তাদের অবৈধ কার্যক্রম করতে না পারে।’

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানিকারক, রপ্তানীকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় সিএন্ডএফ এজেন্টরা পণ্য খালাসের জন্য একই সময়ে কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে ফলে সময়ক্ষেপণ হয় এবং পণ্য খালাসে বিলম্ব হয়। এক্ষেত্রে প্রথমে পঁচনশীল পণ্যগুলো দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।’

পণ্যবাহী ট্রাকগুলো যেন রাস্তায় রেখে রাস্তা ব্লক করা না হয় সে ক্ষেত্রে ট্রাক মালিক সমিতি শৃঙ্খলার সঙ্গে ট্রাকগুলো রাখার ব্যবস্থাসহ উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে পরামর্শ দেন তিনি।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য বিশেষ করে ভোজ্যতেল, চিনি এবং পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সভায় প্রাপ্ত তথ্য ও মতামত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ‘ভোক্তা-অধিকার নিয়ে আমরা সবসময় কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনটি একটি অন্যতম যুগোপযোগী আইন। কিন্তু উপজেলায় টেষ্টিং ল্যাবের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সময় আইনটি প্রয়োগে সমস্যার সন্মুখীন হতে হয়। খাদ্যে ভেজাল প্রমাণের জন্য টেষ্টের প্রয়োজন হয়।’

সভায় আমদানিকারকরা বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির আইপি প্রদান করা হলে অতিদ্রুত পণ্য বন্দর থেকে খালাসের ব্যবস্থা করা হলে এলসি সমস্যা দূর হলে এবং কাষ্টমস নির্ধারিত সময়ে পণ্য খালাস করলে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে।’

সভায় কাস্টমস প্রতিনিধি বলেন, আমদানিকৃত গাড়ি কনসাইনমেন্ট অনুযায়ী প্রবেশ করলে দ্রুত পণ্য খালাস করা যাবে। অনেক সময় সিএন্ডএফ বেলা ১২টার পর বিল অব এন্ট্রি দাখিল করার কারণে পণ্য খালাসে বিলম্ব হয়।’